
বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে, মন্তব্য করে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিএনপি’র নেতিবাচক রাজনীতির বিপক্ষে। ৯০ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে চায় না। এই শতাংশ মাত্রা আস্তে আস্তে তলানিতে গিয়ে দাঁড়াবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডিতে আ.লীগের কার্যালয়ে শীতার্ত মানুষকে ত্রাণ বিতরণ বিষয়ে সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এভাবে বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এবি এম রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ।
ইভিএমএ নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে ইভিএমে কখনো কারচুপি হয়নি। যেখানে এই মেশিন ব্যবহার হয়েছে সেখানে বিএনপির জেতার সংখ্যাই বেশি। ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে একটি টিম উত্তরাঞ্চলে শীতবস্ত্র বিতরণ করবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির অপরাজনীতির উদাহরণ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা, খুনের রাজনীতি করা তাদের পুরনো দিনের অভ্যাস। এ ধরনের দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে; এটা কখনো কেউ বিশ্বাস করবে না।
‘তারা ক্ষমতার রাজনীতি করে, ক্ষমতা পেলে সব ঠিক আর ক্ষমতা না পেলে কোন কিছুই না। তারা তাদের হিসেব মতই চলে। তারা গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না। তারা আইন মানে না, আদালত মানে না, পার্লামেন্ট মানে না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য যেনতেন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া। আর ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করা, আবারো হাওয়া ভবন তৈরি করা।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা ( বিএনপি) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে; এজন্য আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচন ফ্রি এন্ড ফেয়ার হবে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
‘নির্বাচনে হেরে গেলে তারা কারচুপির অভিযোগ করবে। নারায়ণগঞ্জে এত সুন্দর নির্বাচন, তারপরও তারা সুক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ করেছে। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। নির্বাচন সুন্দরভাবেই হবে; কারণ নির্বাচন কমিশনকে কীসের জন্য আমরা সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি।’
এসময় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির যে আশঙ্কা বিএনপি জানিয়েছে তার সমালোচনা করে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, নির্বাচনটা খারাপ সেটা প্রমাণ করার জন্য; বিষয়টা হাস্যকর। নির্বাচনের আগে তারা এ ধরনের মন্তব্য করে। কীভাবে তারা এর আগে সিলেটে জিতেছে, কুমিল্লায় জিতেছে? তাদের জয় প্রমাণ করে বিগত নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ছিলো।
কাউন্সিলর পদে সমর্থন নিয়ে বিতর্ক থাকলে ফাইন্ড আউট করে যথাযথ প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে বলেও জানান আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের নিয়ে দলের অভ্যন্তরে কিছু কিছু জায়গায় প্রশ্ন ওঠেছে।
‘আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সব সিদ্ধান্ত সঠিক নাও হতে পারে। এজন্য তৃণমূল পর্যন্ত আমরা টিমওয়ার্ক করছি। কোথাও যদি বিতর্কিত প্রার্থী থেকে থাকে এবং প্রার্থীর অবস্থান কী এগুলো আমরা ফাইন্ড আউট করবো এবং যথাযথ প্রার্থী ঘোষণা করার ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা করবো।’এর আগে, সদ্য প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, আজ এয়ার এম্বুলেন্সে তাকে চেন্নাই নেওয়ার কথা ছিলো। আজ অপরাহ্ন তিনটায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার নামাজে জানাজা এবং বিকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে দাফন করা হবে।