
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, একসময় দেখেছি, সন্ত্রাসী ধরা পড়ার পরেই অনেক নেতারা বলতেন ‘ছেড়ে দাও’। একটি ভবনের নাম করে সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দিতে বলা হতো। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো ধরছো না কেন?’ এ কারণে জলদস্যু, জঙ্গি, মাদক সবকিছুর নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের আ ক মু গিয়াসউদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়ামে ‘নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশ প্রধান ড. জাবেদ পাটোয়ারী, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, র্যাবের প্রধান বেনজির আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। নির্দেশনা দিচ্ছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি একের পর এক স্বপ্ন দেখছেন এবং বাস্তবায়ন করছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একসময় বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা চলছিল। সব ধর্মের সবাই এগিয়ে এসেছে বলেই আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের গুরুরা এগিয়ে এসেছিলেন বলেই সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করতে পেরেছি। এ কারণেই আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে সক্ষম হয়েছি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ১০ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক না। এখন তাদের দক্ষতা-অভিজ্ঞতা যেকোনো কিছু সামাল দিতে পারে।
বইয়ের পঠভূমির বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিব আমার কাছে এসে বললেন, ‘আপনাকে নিয়ে একটি বই লিখবো।’ আমি বললাম, ‘কী ধরনের বই?’ তিনি বললেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও আপনার কার্যক্রম নিয়ে।’ তখন বললাম, ‘চলো আমার সঙ্গে। বন্ধুবান্ধব যারা আমার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধ করেছে, তাদের সঙ্গে পরিচয় করে দেই।’ অনেক কষ্ট ও দুঃসাহসিকতায় ডিআইজি হাবিব বইটি সমাপ্ত করতে পেরেছেন।