
এক বছর আগে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন ভন্ডুল কর গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ‘মাদ্রিদে জলবায়ু সম্মেলন : পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে যোগদানে পূর্বে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আইডিইবি এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
আইডিইবি’র সভাপতি এ.কে.এম.এ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। সেমিনারে আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রাহমান, বিসিজেএফের সভাপতি কাওসার রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এক বছর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি চেয়েছিল ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন ভন্ডুল করে গণতন্ত্র হত্যা করতে। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে এবং প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে দেশের মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল। সে হিসেবে আজ হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস।”
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজ গণতন্ত্র রক্ষা দিবস। কারণ আজকের দিনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সকল ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে দেশের মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করেছিল।
তিনি বলেন, আজ তারা যে দিবসটি পালন করতে চাচ্ছে, প্রকারান্তরে তারা তাদের খোলস উন্মোচন করছে যে, তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল।”
ড. হাছান মাহমুদ বলেন “গতকাল দেশের মানুষ তাদের বিশাল! মিছিল দেখেছে। যেখানে শ’দেড়েক মানুষ ছিল। সেই মিছিলে ঐক্যফ্রন্টের শরীক দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যন্ত ছিলেন না।”
মিছিল কি দেড়শ’ জনের হয়? এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই লজ্জা ঢাকার জন্য তারা যেসব কথা বার্তা বলছেন এগুলো অবান্তর কথাবার্তা। প্রকৃত পক্ষে তারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নানা ষড়যন্ত্র করছে। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ সব করে কোন লাভ নেই। কারণ দেশের মানুষ আর তাদের সাথে নেই।
বিএনপি অফিসের সামনে ককটেল বিষ্ফোরণ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতে আমরা অনেক দেখেছি, বিএনপি যখন কোন সমাবেশ বা আন্দোলনের ডাক দেয়, তখন তারা সাধারণ মানুষের উপর পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেছে। নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। এগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছাড়া আর কিছু নয়।
সরকারের এক বছরপূর্তি সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক বছরে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সরকারের তারচেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দল যাকে জয়লাভের জন্য যোগ্য মনে করেছে এবং জনগণের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। সূত্র: বাসস।