
আ.লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিএনপিকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং আমি তাদের বলবো নির্বাচনের মাঠ থেকে হঠাৎ পালিয়ে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চক্রান্ত করবেন না। আমরা চাই, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক ১৪ দল মেনে নেবে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের মুক্তির সোপান এলাকায় প্রবীণ রাজনীতিবিদ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা গাজী সিরাজুল ইসলাম খানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আ.লীগের সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন-ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডল, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, কে এম হোসেন আলী হাসান, বাবু বিমল কুমার দাস, ইসহাক আলী, উল্লাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গাজী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মোজাফফর হোসেন, পৌর আ.লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সদর থানা আ.লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার শিকদার ও মৃত সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে শাহনেওয়াজ খান সুমন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের কাছে যাবো। উন্নয়নের কথা বলবো। জনগণ যে রায় দেবে আমরা তা মেনে নেব। বিগত সিটি ও জাতীয় নির্বাচনের মতো মাঝপথে পালিয়ে না গিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার জন্য বিএনপির প্রতি আহবান জানান তিনি।
সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে টানা তৃতীয়বারের মতো দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই নেতা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আবারও নির্বাচিত করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে নতুন কমিটি।প্রয়াত প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খানকে সৎ ও আপসহীন রাজনীতিবিদ আখ্যা দিয়ে নাসিম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল খান রাজনীতি করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। নীতির কাছে কখনো আপস করেননি। তিনি সিরাজগঞ্জবাসীর হৃদয়ে সবসময় বেঁচে থাকবেন।