
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সেখানে আন্দোলন করার চেষ্টা ডাকসুর কাজ নয়, তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদের বিষয় নিয়ে কথা বলা।
সোমবার দুপুরে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেটার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা দরকার সেটা না করে ভারতের বিষয় নিয়ে আন্দোলনের চেষ্টা এবং বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়া এগুলো ঘটনা ঘটানোর জন্য ইন্ধন আছে কিনা তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।
আমরা কখনও এ ধরনের হামলাকে সমর্থন করিনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে গতকাল এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য। হামলার পরপরই আমাদের দলের দুজন নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সেখানে গিয়েছিলেন সমবেদনা জানাতে, তারা দলের অবস্থানের কথা পরিষ্কার করেছেন। আজকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দল ও সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলেছেন।
‘আমাদের বক্তব্য একই, আমরা এ ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না। যারাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা নিন্দনীয়।’
হামলার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন থেকে যায়, নুর কেন বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে গেলেন, এতগুলো বহিরাগতকে নিয়ে সেখানে যাওয়ার কি প্রয়োজন ছিল।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা দেখেছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র আছে। রাজনৈতিকভাবে সরকারকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়, সেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা এবং যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাতে উস্কানি ছিল কিনা সেটা দেখা হচ্ছে। আমরা আগেও দেখেছি ডাকসু ভিপি নুর আলোচনায় থাকতে চান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সরকারে কাজ করছি। সম্প্রতি আমাদের সম্মেলন সফলভাবে শেষ হয়েছে। যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের দলে আনা যাবে না। অতীতে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। জিয়াউর রহমান রাজনীতিকে রাজনীতির হাট বানিয়েছেন। খালেদা জিয়া তার ষোলকলা পূর্ণ করেছেন। বাংলাদেশ একসময় ছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। আজ এই দেশ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, ঝুড়ি উপচেপড়া দেশ। আওয়ামী লীগে নিয়মিত সম্মেলন হয় যা অন্য দলে হয় না। গণতান্ত্রিক পথে আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচিত করা হয়, যা অন্য দলে হয় না। তাই আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনেক দলের জন্য অনুকরণীয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করেছেন। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই মর্যাদা আমি রক্ষা করবো।