
বর্তমান চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি বলেছেন, এখন ছবি বানাতে গেলে শিল্পীর দরকার হয় না। শিল্পীর খুব অভাব। যৌনকর্মী হলেই ছবি বানানো সম্ভব। খুবই দুঃখজনক, ইন্ডাস্ট্রির এখন বাজে অবস্থা। প্রফেশনাল যৌনকর্মী হলেই ছবি বানানো সম্ভব, বানাচ্ছে। এখানে শিল্পীর কদর নাই।
একটি জাতীয় দৈনিকের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘এসব অপকর্মের সঙ্গে শিল্পী সমিতি তো নিজেরাই জড়িত। তারা এসব বিষয়ে কি করবে। দেখা গেছে এসব অকর্মের সঙ্গে জড়িত… নাম বেড়িয়ে এসেছে।’
এখন মনে রাখার মতো শিল্পী কোথায়-মন্তব্য করে পপি বলেন, এত সুন্দর একটি ইন্ডাস্ট্রি, এই সমস্ত যৌনকর্মীদের কারণে এখন ধ্বংস হতে চলেছে। একটার পর একটা বিয়ে করবে, টাকা-পয়সা নেওয়া হয়ে গেলে আবার আরেকজনের সঙ্গে…। এদের কারণে অন্যান্য শিল্পীদের ইমেজও ক্ষুণ্ন হয়। আমাদের দেশে মানুষ বলে “তোমাদের নায়িকারা” বা “আপনাদের তো একটা বিয়ে হয় না” ইত্যাদি। এসব কথা শুনলে, খুব খারাপ লাগে। শাবানা, ববিতা, চম্পা, শাবনাজ, মৌসুমী আপা কয়টা বিয়ে করেছেন? একটা করেছেন। কিন্তু বর্তমানের কিছু নায়িকাদের জন্য সব নায়িকাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আমি এসব নায়িকাদের নাম উল্লেখ করতে চাই না। এসব নায়িকাদের মুখে কালি মেখে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের করে দেওয়া উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো আমাদের নিজের কাজের প্রয়োজনে দৌড়াই। কিন্তু শুনি যে, শিল্পীরা শপিং করতে প্রডিউসারদের সঙ্গে বিদেশ যায়। আমরা তো আর ওই ধরনের শিল্পী না।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বলেন, আমি কারও জমা খরচ দিয়ে চলি না বা কোনো প্রডিউসার কিংবা কারো আন্ডারেও থাকি না। আর আমার কথা বলারও স্বাধীনতা আছে। তাই এই কথাগুলো বলতে আমরা কোনো ভয় নেই।
প্রশ্ন রেখে পপি বলেন, যাদের ব্যক্তিগত ইমেজ খারাপ, তারা শিল্পী হয় কীভাবে? ঘরে জামাই রেখে বদমায়েশি করে বেড়ায়, এরা শিল্পী হয় কীভাবে?
নির্মাতাদের অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা বলেন, যারা ছবি বানাতে এসেছেন, তারা ছবি বানান। আর যারা বদমায়েশির জন্য এসেছেন তাদের জন্য ওটাই পারফেক্ট। ইন্ডাস্ট্রি তো আর বদমায়েশির জায়গা না।