গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাজাহার ইউনিয়নের গোমড়া দীঘি গ্রামে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আজিজুল হক জিহাদীর ইসলামী ওয়াজ মাহফিলে পুলিশের সাথে মুসল্লীদের হাতাহাতি ও পুলিশের গুলি বর্ষনের ঘটনায় তরুন উদ্যোক্তা,সফল মৎস্য চাষী, সংগঠক, নওগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও রাজাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রিফাত তারিক,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান আন্টুসহ প্রায় শতাধিক জনকে আসামী করা হয়েছে।
যার ভিতরে ২৯ জন নামধারী আসামী রয়েছে। যাদের মধ্যে ৫-৭ জন সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। বাকি ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতধারী হিসাবে আসামী হিসাবে দেখানো হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো বরশাও গ্রামের আলী আনছারের ছেলে রাজু আহম্মেদ (৩৫), রাজা বিরাট গ্রামের আব্দুল হাকিম মন্ডলের ছেলে মিসবাউল ইসলাম (৩২) ও বরশাও গ্রামের আব্দুল জলিল সরকারের ছেলে নয়ন আহম্মেদ সরকার (২৫)। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ফোনে রিফাত তারিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি শিহিপুর ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত ছিলাম। উক্ত ঘটনার সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। এই মামলায় আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানো হয়েছে। মামলা থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করা হোক।
এ ব্যাপারে সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উক্ত ঘটনায় মূল আসামীদের বাঁচাতে একটি কুচক্রী মহল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। আশাকরি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামীদের নাম বের হবে ও আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নামগুলো মামলা থেকে প্রত্যাহার হবে।