
মাদক, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। আগে ঘরের লোকের শাস্তি দেব। তারপর পরের লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নেতাদের আচরণ ভালো করতে হবে। কারণ একটি খারাপ আচরণে দশটি উন্নয়ন ঢেকে যাবে। আ.লীগে দূষিত রক্তের দরকার নেই। তবে আ.লীগে বিশুদ্ধ রক্তের অভাব নেই বলেছেন, আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,
আজ বুধবার দুপুরে যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
যশোর জেলা আ.লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আ.লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সদস্য এস এম কামাল হোসেন, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, পারভীন জামান কল্পনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দীর্ঘদিন দলে পদ পায়নি, তাদের পদ দিতে হবে। সারাবছর নেতাদের পেছনে ঘুরে, তবে তারা পরিচয় দিতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করছে, আ.লীগে পদ নেই। এসব মৌসুমি পাখিদের গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দলের অনেক নেতাকর্মী আছেন, যারা দুঃসময়ে আ.লীগের নিবেদিত প্রাণ ছিল, এখন আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। কিছু নেতার কপাল খুললেও ত্যাগী নেতাদের অনেকেই এখনো কুঁড়েঘরে বসবাস করেন। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারেন না। অনেকে অসুস্থ আছেন। চিকিৎসা করাতে পারছেন না। দলের নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার দরজা খোলা। প্রয়োজনে তিনি বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। আপনারা আমাদের জানাবেন।
শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, সারাদেশে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই অভিযানের মাধ্যমে আগে ঘরের লোকের শাস্তি হবে। তারপর পরের লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ঘরকে শাস্তি দিয়ে পরকে শেখাবো। এর আগে দুপুর ১২টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। সঞ্চালনা করেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।