
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের যে প্রক্রিয়া জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন, খালেদা জিয়া ও এরশাদ যেটির ষোলকলা পূর্ণ করেছিলেন, সেই চক্র থেকে বের করে এনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির শিক্ষিত মানুষের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ রোববার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ওমানের রাষ্ট্রদূত তাঈদ সেলিম আব্দুল্লাহ আল আলাউই এর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই যুবলীগের সম্মেলন যে প্রক্রিয়ায় হয়েছে সেই প্রক্রিয়ার বাইরেতো আ.লীগের সম্মেলন হবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ.লীগ ও আ.লীগের পরিবার পরিচালিত হয়। সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনেকগুলো সম্মেলন এরইমধ্যে হয়েছে। প্রত্যেকটি সম্মেলনের মাধ্যমে যাদের হাতে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে তারা সবাই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সৎ ও ভালো মানুষ। এর মাধ্যমে রাজনীতিকে যারা কলুষিত করতে চান এবং রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের যে প্রক্রিয়া জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন, খালেদা জিয়া ও এরশাদ যেটির ষোলকলা পূর্ণ করেছিলেন, সেই চক্র থেকে বের করে এনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির শিক্ষিত মানুষের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
এটি রাজনীতি ও দেশের জন্য মঙ্গল। একইসঙ্গে অন্য দলগুলো এটি থেকে শিক্ষা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
যুবলীগের নতুন কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত এটি একটি চমৎকার কমিটি হয়েছে। বিভিন্ন কারণে যুবলীগকে নিয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, কিছু নেতৃত্বের কারণে, এরপর শনিবার সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি গঠিত হয়েছে…যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সন্তানের হাতে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত সুশিক্ষিত ও মার্জিত একজন মানুষ।
বিএনপির অনেক নেতা বলেছেন তারা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যেতে চাচ্ছেন বা যাবেন, বিষয়টি সরকার কীভাবে দেখছে এবং কী প্রস্তুতি রয়েছে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদি হরতাল-অবরোধ মানে জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি। জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি অনুসরণ করার কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাজনীতিতো জনগণকে জিম্মি করার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণের জন্য।
তিনি বলেন, প্রতিবাদের ভাষা দিনের পর দিন জনগণকে জিম্মি করা নয়। এটি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি করেছে। প্রতিবাদের ভাষা মানুষের উপর বোমা নিক্ষেপ নয়। তারা যদি আগের ভুলপথ আবার অনুসরণের চেষ্টা করে, প্রথমত জনগণ সেই সুযোগ তাদের দেবে না। এরপরও যদি তারা চেষ্টা করে এখন যে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তারা জনবিচ্ছিন্ন নির্জনদ্বীপের বাসিন্দা হয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে রাজনীতির মাঠে।
এর আগে ওমানের রাষ্ট্রদূত তাঈদ সেলিম আব্দুল্লাহ আল আলাউই এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওমানে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি আছেন, এরমধ্যে প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি (তার ভাষ্য অনুযায়ী)। অত্যন্ত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাংলাদেশিরা সেখানে কাজ করছে। তিনি (ওমানের রাষ্ট্রদূত) সেটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করার বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ওমানের বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আসে সেই বিষয়টি নিয়েও ওমানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।