
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের সিধন গ্রামে এক সন্তানের জননী বিউটি বেগম (২২)’কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর আব্দুস মজিদ সরকার’কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
জানাযায়, জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের সীধন গ্রামের আব্দুস মজিদের ছেলে মামুনের সঙ্গে নুনিয়াগাড়ী গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে বিউটির পারিবারিক ভাবে ৩ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের একটি সন্তান রহিয়াছে। বিবাহের পর থেকে এ গৃহবধূ অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে বলে জানা যায়। ঘটনার দিন ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ভোরে স্বামী মামুন মিয়া বিউটি বেগমকে বেদম মারপিট করে। বিউটি নিস্তেজ হয়ে পরলে ঘটনার বেগতিক দেখে সকাল ৭ টায় পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার নাটক সাঁজায় স্বামী। হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে থেকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে ঘরে রাখে বিউটিকে। পূর্বেই বিউটি মারা যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। একসময় ঘরে গৃহবধূর লাশ রেখে তালা লাগিয়ে পরিবারের সকলেই পালিয়ে যেতে থাকে এসময় স্থানীয়রা নিহতের শ্বশুর আব্দুস মজিদ সরকারকে আটক করে পলাশবাড়ী থানা পুলিশে খবর দেয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মাসুদুর রহমান মাসুদ, এস আই তয়নসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং নিহতের শশুরকে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে নিহতের স্বজনেরা পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পযন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নিহতের শরীরে কিছু আঘাতের দাগ দেখা গেছে। #