সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০তম ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেয়া না হলে নতুন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন গ্রেড প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষক নেতারা এমন ঘোষণা করেন।
গতকাল শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের পুরাতন পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির নীতি-নির্ধারণী কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, সদস্য সচিব মোহাম্মদ সামছুদ্দিন মাসুদ, প্রধান মুখপাত্র মো. বদরুল আলম, প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, আব্দুল্লাহ সরদার, আবুল কাশেম, রবিউল হাসান, সাবেরা বেগম, বাঁধন খান ববি, জাকির হোসেন, মশিউর রহমান প্রমুখ।
সভায় ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকরা। কারণ ওই গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করলে শিক্ষকদের বেতন বাড়বে না বরং অধিকাংশ শিক্ষকদের বেতন কমে যাবে। ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তির পর প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বক্তব্যে ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে ১১তম গ্রেড ও ৩ লাখ ৪২ হাজার সহকারী শিক্ষককে ১৩তম গ্রেডে বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তাতে অধিকাংশ শিক্ষকের বেতন বাড়ার পরিবর্তে কমে যাবে। কারণ, সরাসরি প্রায় ২০ হাজার প্রধান শিক্ষক বর্তমানে ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অবশিষ্ট পদোন্নতিপ্রাপ্ত ও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা সহকারী শিক্ষকদের সমস্কেলে বেতন পাবেন।
কিন্তু নিম্নধাপে উন্নীত স্কেলে ফিক্সেশন করলে প্রতিমাসে শিক্ষকদের বেতন এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা কমে যাবে। যে ক্ষতি শিক্ষকরা চাকরি শেষেও কাটিয়ে উঠতে পারবে না। এর জন্য বর্তমান বেতন কাঠামোই দায়ী। তাই শিক্ষকদের দাবি প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে বেতন বৈষম্য নিরসন করা ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা একান্ত জরুরি। তারা আরও জানান, ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বেতন বৈষম্য নিরসনে শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। শিক্ষকদের অভিমত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেই তাদের বেতন বৈষম্য নিরসন হবে। অন্যথায় শিক্ষক নেতারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।