
৭১ পরবর্তী সময়ের তুলনায় বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের স্বাধীনতা নেই, অধিকার নেই বেঁচে থাকার, অনেক দুর্ঘটনা হচ্ছে। তারপরেও কিন্তু খেলা থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জারিফ তুহিন। এসময় কৃষক দলের জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গয়েশ্বর বলেন, যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য একটি পক্ষ দেশের স্বার্থ-সম্পদ সব নষ্ট করে লুটেরাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ নেই। তবে, ধৈর্য হারালে চলবে না।
দলের কিছু নেতাকর্মীর বিএনপি ছেড়ে যাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সুসময়ে অনেককেই পেয়েছি, যারা এখন নেই। বেগম খালেদা জিয়া যখন সরকার গঠন করেছেন, তখন অনেক নামি-দামি নাদুস-নুদুস লোক আমাদের সঙ্গে এসেছেন। তাদের এখন ধৈর্যচ্যুতি হয়েছে, তারা আর থাকতে পারছেন না। কারণ, তারা বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন পার করেননি।
বিএনপিকে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আসার যখন নিয়ম আছে, যাওয়ারও নিয়ম আছে। এটি নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কত লোক ট্রেনে চড়ে চলে যাচ্ছেন, আবার কত লোক ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তারপরও কিন্তু প্ল্যাটফর্মে লোকের অভাব নেই। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান, জাতীয়তাবাদী শক্তির একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে কখনো লোকের অভাব হবে না। সভাপতির বক্তব্যে কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কৃষকের কাছ থেকে সরকারের সরাসরি ফসল কেনার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এর বিপরীতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া অধিকার আদায় সম্ভব নয়।