
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানার ৭ নংইদিলপুর ইউনিয়নের কুঞ্জমহিপুর গ্রামের এনামুল মিয়া (৪১) ভিক্ষা করে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রায় ১২ বছর আগে স্থানীয় একটি ইটের ভাটায় কর্মরত অবস্থায় একটি দূর্ঘনায় পর্যায়ক্রমে দুটি পা কেটে ফেলতে হয়েছিল এনামুল মিয়ার। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে নিজের বাবার দেয়া এক শতক জমি ও থাকার আশ্রয়টুকু বিক্রি করে ভিক্ষার থালা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে এনামুল মিয়া! চার সন্তান সহ মোট ছয়জনার সংসার এনামুল মিয়ার। হাটে, বাজারে ভিক্ষা করেই উপার্জিত অর্থে বিয়ে দেন দুই মেয়েকে! সংসারে বাকি দুই ছেলে সোবাহান (১৩) ও (১০) দীর্ঘদিন বাবার সাথে ভিক্ষা করার পর স্থানীয় চায়ের দোকানে কর্মরত অবস্থায়! ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দ্বারে দ্বারে যেয়েও কোনো প্রতিকার পাননি এনামুল মিয়া! দীর্ঘদিন অন্যর দ্বারে দ্বারে ঘুরে এখন আশ্রয় নিয়েছেন পলাশবাড়ী থানার উদয় সাগর গ্রামের গার্মেন্টস শ্রমিক জরিনার বাড়িতে!
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে এনামুল মিয়া জানান, পরপর আমার ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যানের কাছে গেলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে পাঠিয়েছেন। এনামুল মিয়া আরো জানান, একটু বৃষ্টি হলে অনাহারে থাকতে হয় স্ত্রীও ছেলেগুলোকে নিয়ে। নিজ অর্থায়নে কেনা একটি তিন চাকা বিশিষ্ট ঠেলাগাড়ি ঠিকমতো চলেনা। পাদুটো হারানোর পর একটি হাতেওবিরল (ইনফেকশনজনিত) রোগ দেখা গেছে! সে হাত দিয়েও ঠিকমতো কোনকিছু ধরতে পারিনা।
জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ সমাজের বিত্তশালীদের আশু দৃস্টি কামনা করেছে এনামুল। আপনার একটু সাহায্য সহযোগিতাই পারে একজন পঙ্গুত্বের সাংসারিক কষ্ট দূর করতে!