
পীরগঞ্জ,রংপুর মোস্তফা মিয়াঃ
পীরগঞ্জে জে,এস,সি পরীায় প্রতিবন্ধি হয়েও প্রতিবন্ধির সুযোগ দেয়া হয়নি, এক প্রতিবন্ধি পরীার্থীকে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী দ্বিমূখী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরীা কেন্দ্রে। প্রতিবন্ধি ছাত্র উপজেলার বিশলা গ্রামের মন্ডল চন্দ্রের পুত্র, সজল চন্দ্র বর্মন। ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সে, জে,এস,সি পরীার রোল নং-৮৫৩০৬৫।
উক্ত পরীা কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জানাযায়, উক্ত প্রতিবন্ধি ছাত্র সজল গত বছরেও জে,এস,সি পরীায় অংশ গ্রহন করলেও প্রতিবন্ধি পরীার্থীর সুবিধা দেয়া হয়নি বলে জানান, দরিদ্র পিতা মন্ডল চন্দ্র বর্মন। অথচ প্রতিবন্ধি পরীার্থী হিসেবে ভেন্ডাবাড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আজিজুল ইসলামের নিকট আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রধান শিক বিষয়টি গুরুত্ব না দেয়ায় গত বছরে বাংলাসহ ৩ টি বিষয়ে সজল ফেল করে বলে জানায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এবারেও উক্ত প্রতিবন্ধি সজল পরীায় অংশ গ্রহন করেছে এবং প্রধান শিক কে প্রতিবন্ধি পরীার্থীর সুবিধার জন্য মৌখিক ভাবে অনুরোধ করেছেন। এবারও একই অবস্থা, প্রতিবন্ধি হিসেবে তাকে কোন প্রকার অতিরিক্ত সময দেয় হয়নি। অথচ এ কেন্দ্রের পার্শেই ভেন্ডাবাড়ী বছির উদ্দিন জব্বারিয়া দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসায় জে,ডি,সি পরীা কেন্দ্রে আরাফাত জামান, শাওন মিয়া ও রহিমা খাতুন নামের ৩ প্রতিবন্ধি পরীার্থীকে নিয়ম মেনে অতিরিক্ত সময় দেয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধি সজল প্রসঙ্গে উক্ত মাদ্রাসা পরিা কেন্দ্রের সচিব ও সুপার শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, “এটি বিদ্যালয়ের প্রধানের গাফিলাতি, বিদ্যালয় কর্তৃক আবেদন করলেই ছেলেটি প্রতিবন্ধি পরীার্থীর সুযোগ সুবিধা পেত।” অপর দিকে ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীা কেন্দ্রের প্রধান শিক ও সচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি প্রতিবন্ধি সজলের বিদ্যালয় কর্তৃক কোন প্রত্যায়ন পত্র না থাকায় প্রতিবন্ধি পরীার্থীর সুবিধা দিতে পারছিনা, এটা ছেলেটির ব্যাপারে অন্যায় করা হয়েছে।” এ ব্যাপারে উক্ত পরীা কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা সহকারী শিা অফিসার আবু জাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, আসলে বিষয়টি খুব দুঃখজনক, শিা বোর্ডে আবেদন করলেই ছেলেটি এই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতনা।” এব্যাপারে প্রতিবন্ধি সজলের বিদ্যালয়ের প্রধান শিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,“সজল কোন প্রতিবন্ধির মধ্যে পরেনা, আমি এব্যাপারে শিাবোর্ডে আবেদন করেছিলাম কিন্তু শিাবোর্ড অনুমোদন করেনি।” অথচ প্রতিবন্ধির সজলের নামে প্রতিবন্ধি কার্ডও রয়েছে। পরীা শেষে প্রতিবন্ধি সজল যখন বেরিয়ে আসে, তখন দেখাযায়, সে শুধু বাক প্রতিবন্ধিই নয়, হাত,পা ও প্রতিবন্ধি। সে ঠিক ভাবে হাটতেও পারেনা, আবার হাত দুটো থর থর করে কাপছে। অনেকের ধারনা প্রধান শিক আজিজুল ইসলাম প্রতিবন্ধি সজলের কোন আবেদনই করেননি শিাবোর্ডে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি বিষয়টি দেখতেছি, কেন একজন প্রতিবন্ধি ছাত্র প্রতিবন্ধি পরীার্থীর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।