একটি বেসরকারী টিভিতে সরকারী পুকুর লীজের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতি’র সভাপতি সংখ্যালঘু শ্রী শম্ভু হাওলাদার এর উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনকারী দূর্বৃর্ত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টন নিয়ে মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যরা মানববন্ধন করেছে। ২১ অক্টোবর (সোমবার) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সড়কে এই মানব বন্ধন চলাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, মৎস্যজীবি সম্ভুর উপর যে হামলা হয়েছে এর জন্য আওয়ামী লীগের কেউ দায়ী নয়। রগাঁও মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় সাংসদের ছোট ভাই লিটন চৌধুরী উপজেলা পুকুর লীজ কমিটির সাথে আতাত করে গোপনে পুকুর লীজ নেওয়ার বিষয়ে সত্য ঘটনা তালাশ টিমের কাছে বলায় মৎস্যজীবি শম্ভু কে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে এসে বেদম মারপিট করা হয়েছে, এর সাথে যারা জড়িত আছে তাদের বিচার চাই।
গুমানীগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ধলু মিয়া, মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী শিবাস চন্দ্র একই দাবী জানান, কামারদহ মৎস্যজীবি সমিতি’র সদস্য মোস্তাফিজার রহমান বলেন, কামারদহ ইউনিয়নের চাঁপড়ীগঞ্জ হাজরাদহ পুকুর দীর্ঘ দিন ধরে ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমিতি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। কামারদহ লালবাগ গ্রামের আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী গৌতম চন্দ্র এমপি’র ছোট ভাই লিটন চৌধুরীর কাছ থেকে পুকুর সাবলীজ দেওয়ার কথা বলে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। সেই টাকা ফেরৎ না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে তিনি বলেন।