
সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া পরিচালিত ক্যাসিনোর টাকার ভাগ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও পেতেন, এমন অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় তবে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক হবে। চাঁদা নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টা তদন্তাধীন। তবে আমি মনে করি, যদি এটি (মেননের বিরুদ্ধে অভিযোগ) সত্য প্রমাণিত হয়, সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক হবে। যে ধরনের রাজনীতিবিদের নাম এখানে আসছে, সেটি আসাটাই উচিত হয়নি। আসাটা আমরা কখনো কল্পনা করিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘যেকারও নাম যদি আসে তাদের বিরুদ্ধে তো দেশের আইন আছে, আইন অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা হবে।’
এ সময় ভোলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভোলার ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য চক্রান্ত করছে একটি মহল। এই নিয়েও তদন্ত হচ্ছে।’
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ায় পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট বিভিন্ন মহলের প্রভাবশালীদের হাতে ‘নজরানা’ পৌঁছে দিতেন বলে জানান।
জিজ্ঞাসাবাদকারী সূত্র জানায়, সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া পরিচালিত ক্যাসিনোর টাকার ভাগ ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও পেতেন।