
সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ দাবি করেছেন, সেই দুর্নীতি সামাল দেয়ার শক্তি সরকার হারিয়ে ফেলেছে। যতভাবেই বলুক না কেন তারা অভিযান চালাবে কিন্তু অভিযান সফল হবে না।
তিনি বলেন, অভিযান সফল করতে হলে ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী আর যুবলীগের শামীম-সম্রাটদের পেছনে যে মন্ত্রী-এমপিরা আছেন তাদের শনাক্ত করতে হবে। তা-না হলে এ দুর্নীতি নিবারণ করা সম্ভব হবে না। কারণ, সরকারের অঙ্গ-প্রতঙ্গে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। সরকার দুর্নীতিতে ডুবে আছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সমানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়াতবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী শপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মোর্শেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ও বর্তমান সকল মন্ত্রী-এমপির সম্পদের হিসাব প্রকাশের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সকল মন্ত্রী-এমপির সম্পদের হিসাব দেখতে চাই। সেই হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। মন্ত্রী-এমপি হওয়ার আগে তাদের কত সম্পদ ছিল আর এখন কত সম্পদ আছে, তা আমাদের দেখা দরকার। কারণ, দেশের মানুষ এ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ নাকি এমন একটি দেশ যেখানে খুব দ্রুত ধনী হওয়া যায় আর সেই ধনী হওয়ার নমুনা হচ্ছে জুয়া, ক্যাসিনো আর ব্ল্যাক মার্কেটিং করে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, ‘উনি এক বছর সাত মাস হয়ে গেল জেলখানায় আছেন। তিনি জেলে আছেন, কারণ তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রী। দুই কোটি টাকার একটা মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় তাকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তার জামিন হওয়ার কথা ছিল সাতদিনের মধ্যে। কিন্তু জামিন হয় নাই এবং সেটা সরকারের প্রভাবের কারণে।’
তিনি বলেন, আদালতের বিচারকদের এখন আর স্বাধীনতা নেই। সেই কারণে বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে পড়ে আছেন। তার মুক্তির জন্য এখন আন্দোলন দরকার। আন্দোলন করেই তাকে মুক্ত করতে হবে।
তাদের উচিত হবে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সেটা যদি তারা না করেন, তবে এ দুর্নীতির ভারে সরকারের পতন বাধ্য।’