
ক্যাসিনো ব্যবসায়ী আর জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে সরকার লোক দেখানো অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসময় তিনি জানান,সরকারের ভয়াবহ পরিণতি এগিয়ে আসছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাক গোলাম মাওলা শাহীনসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার রহস্যজনক কারণে গত দশদিন আগে ক্যাসিনো, জুয়া এবং মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর পর আমরা বলেছিলাম লোক দেখানোর জন্য এসব করা হচ্ছে। এখন সেটাই বাস্তব হচ্ছে। ক্রমেই হাস্যকর হয়ে উঠেছে এই কথিত অভিযান। ঢাক-ঢোল-তবলা বাজিয়ে কয়েকটা ‘যদু-মধু’ আটক করার পর এখন মন্ত্রীরা চিৎকার দিয়ে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অথচ এখনো মূল অপরাধীরা অধরাই থেকে গেছে। এই দেশ বেশিদিন অনাচার-অবিচার-অন্যায়-দুর্নীতি সহ্য করেনি। এদের ভয়াবহ পরিণতি এগিয়ে আসছে। সাদ্দাদের বেহেশতের মতো এই দুরাচারদের স্বর্গ যে কোনো মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে ভিত্তিহীন মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারাগারে আটকে রেখেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, নেতাকর্মীদের গুম করা, খুন করা ইত্যাদি কারণে আমাদের কারো ঘুম নেই। এই শেখ হাসিনা সরকার আমাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর আগের রাতে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাক্স ভর্তি করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে এই অনির্বাচিত সরকার। জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার না থাকায় দেশে কারো কোনো কোনো জবাবদিহিতা নেই। চারদিকে শুধু ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি। এই সরকার দেশকে জুয়ার দেশে পরিণত করেছে।’