
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাসিনোতে অভিযানের পর এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদেশিদের পালাতে সহায়তা করায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই পুলিশ সদস্যের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে। ক্যাসিনো সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্তা আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক দিপু সরোয়ারসহ ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটি’র সদস্যগণ ও ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম(বার) পিপিএম(বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম(বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম(বার) পিপিএম(বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ আবদুল বাতেন বিপিএম,পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম-সেবাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, হলি আর্টিজান হামলার পর ঢাকাসহ দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়েছিল। ডিএমপির সিটিটিসিসহ অন্যান্য ইউনিটের সফল অভিযানের ফলে নিরাপত্তা হুমকি এখন আর নেই। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে বাংলাদেশে পুলিশের ভূমিকা দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। ঢাকা মহানগরের ৫ স্থানে পুলিশের উপর হামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যত দিন যাচ্ছে পুলিশ ও সাংবাদিকদের সর্ম্পক আরো ভালো হচ্ছে । আমরা সম্মানীত মহানগরবাসীর জন্য ভালো কিছু করতে চাই । আপনারা আমাদের ভালো কাজ দেখলে প্রশংসা করবেন আর আমাদের কাজ করতে গিয়ে কোথাও কোন ভুল-ক্রটি হলে তার গঠণমূলক সমালোচনা করবেন।
উল্লেখ্য, সেগুন বাগিচার একটি ভবনের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের বিরুদ্ধে নেপালিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগ ওঠে।এদের একজন রমনা থানার কনস্টেবল দীপঙ্কর চাকমা আরেকজন ডিএমপির প্রতিরক্ষা বিভাগের এএসআই গোলাম হোসেন মিঠু বলে জানা গেছে। তাদের একজনের হাতে ওয়াকিটকি ছিল।