খবরবাড়ি ডেস্কঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ রাস্তায় ১১টি কালভার্টের নির্মাণ সমাপ্তির পথে। ইতোমধ্যেই ৯টির কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অপর ২টির কাজ দ্রুত সমাপ্তির পথে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,গাইবান্ধা-০৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী সরকারের চাহিদা পত্রের ভিত্তিতে চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে পলাশবাড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ ১১টি গ্রামীণ রাস্তায় ছোট ছোট ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু কালভার্ট নির্মাণের জন্য মোট ২ কোটি ৯৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৩’শ ৯ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে বেড়াডাঙ্গা ইসমাইলের বাড়ীর সামনে ৪০ফুট ব্রীজে ৩২ লক্ষ ৫২ হাজার ৬’শত ৫৩ টাকা, পলাশগাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তায় ৩৮ ফুট ব্রজে ৩০ লক্ষ ৯৩ হাজার ৯৫ টাকা, হোসেনপুর ইউনিয়নে শিশুদহ ঈদগাহ মাঠ হতে দেবত্তর কলাগাছি রাস্তায় দারিয়ার খালের উপর ২০ ফুট ব্রীজে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫’শত ৪৬ টাকা, হাসবাড়ী স্কুল হতে ঝাপড় রাস্তায় বুড়িতলা রাস্তায় খালের উপর ৩৪ ফুট ব্রীজে ২৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ২’শ ৫৬ টাকা, পলাশবাড়ী ইউনিয়নে আমবাড়ী জলিলের বাড়ীর উত্তরপার্শ্বে বিলের উপর ১৬ ফুট ব্রীজে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৬’শ ৫ টাকা, আমবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে কেশড়কাটা বিলের উপর ১৬ ফুট ব্রীজে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৬’শ ৫ টাকা, বরিশাল ইউনিয়নের মধ্য সাবদিন পীরপাল হায়দারের বাড়ীর দক্ষিণপার্শ্বে নলেয়া খালের উপর ৩৪ ফুট ব্রীজে ২৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ২’শ ৫৬ টাকা, তেকাপা ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া আতোয়ারের বাড়ীর ফুটানী বাজার নলেয়া ব্রীজের সামনে ৬০ ফুট ব্রীজে ৫৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ১’শ ৬ টাকা, রাইতি নড়াইল আনারুলের বাড়ী হতে বেতকাপা ঈদগাহ মাঠের রাস্তায় ৩৪ ফুট ব্রীজে ২৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ২’শ ৫৬ টাকা, মুরারীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে মোলামখালি খালের উপর ৪০ ফুট ব্রীজের ৩২ লক্ষ ৫২ হাজার ৬’শ ৫৩ টাকা ও পবনাপুর ইউনিয়নে পারবামুনিয়া উত্তরপাড়া কাকিলা খালের উপর ১৪ ফুট ব্রীজে নির্মাণে ১৩ লক্ষ ২৩ হাজার ২’শ ৭৮ টাকার বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলো ইতোমধ্যই ১১টি ব্রীজের মধ্য ৯টি ব্রীজের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে। অবশিষ্ট ২টি ব্রীজ বেতকাপা ইউনিয়নের পুর্ব নয়ানপুর ও মুরারীপুরে নির্মাণ কাজের স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শতভাগ বাস্তবায় করা সম্ভব হয়নি। তবে তা দ্রুত গতিতে কাজ করার চেষ্ঠা চলছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের পরামর্শ মোতাবেক প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের কঠোর নির্দেশের ফলে কাজের মান যথেষ্ট ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৯টি ব্রীজের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ২টি ব্রীজে জলাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠলেই নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে।
এছাড়াও উপজেলার স্কুল-কলেজে বিন্ডিং নির্মাণ, রাস্তা-ঘাট পাকাকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ জুনের আগেই শেষ করার নির্দেশ দেয়ার কথাও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।