1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে খেলার জগৎ মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদা উপজেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ ক্ষুদে শিল্পীদের মননে সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে পলাশবাড়ী উয়ন্নন ফোরামের নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভবন সংকটে থমকে গেছে “দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” পাঠদান কার্যক্রম । পীরগঞ্জের ২ নং কোষারাণীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনের চলমান দৌরাত্ম তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ পলাশবাড়ীতে আলহাজ্ব ফজলুল হক মন্ডলের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন গভীর শোক ও সমবেদনা গাইবান্ধার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচিতি সভা গাইবান্ধায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সৌজন্য সাক্ষাত ফারিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতিকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে মানববন্ধন

কে এই মাফিয়া ডন জি কে শামীম

  • আপডেট হয়েছে : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, এফডিআর, মদ ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি একধারে মাফিয়া ডন। বন্দুক শামীম। সম্রাট। গণপূর্তের যুবরাজ নামে পরিচিত।

রাজনীতির আড়ালে ঢাকা পড়েছিল তার পাপের লম্বা খতিয়ান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন অ্যালিট বাহিনী র‌্যাবের হাতে। গুলশানের নিকেতনের কার্যালয় থেকে গতকাল কয়েকঘন্টার অভিযান শেষে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

জনমুখে এখন একটাই প্রশ্ন কে এই জিকে শামীম।

জানা গেছে, যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হিসেবে পরিচয়দানকারী জি কে শামীমের পূর্ণ নাম এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম। নারায়ণগঞ্জ শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও তিনি। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর যুবদলের সহ-সম্পাদক ছিলেন। জি কে শামীম বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মির্জা আব্বাসের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।

প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার সরকারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজ তার নিয়ন্ত্রণে। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পর্যন্ত শামীমের ঠিকাদারি হাত বিস্তৃত।

যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে জি কে শামীম পরিচয় দিলেও শুক্রবার উভয় সংগঠন থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।

যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান বলেন, জি কে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো পদে নেই। তবে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে থাকতে পারেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই গণমাধ্যমকে বলেন, ৭১ সদস্যের জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির কোনো পদে জি কে শামীম নামে কেউ নেই। সহ-সভাপতিসহ ছয়টি পদ নানা কারণে শূন্য আছে। ওইসব পদে কারও নাম প্রস্তাব করে অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়নি। সুতরাং এ নামের কেউ দলীয় পদে থাকার কথা নয়।

জি কে শামীমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামে। তার বাবা মো. আফসার উদ্দিন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সন্মানদী ইউনিয়নে বাড়ি হলেও শামীম ১০ম শ্রেণি পাসের পর ঢাকায় চলে আসেন।

ঢাকার বাসাবো আর সবুজবাগ এলাকায় তিনি বড় হয়েছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজ। বড় ভাই গোলাম হাবিব নাসিম ঢাকায় জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেন। অপর ভাইয়ের সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি।

বনানীতে বসবাসকারী জি কে শামীমের অফিস নিকেতনে। নিকেতনের অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাসাবো এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন।

জানা গেছে, বাসাবোর কদমতলার ১৭ নম্বরের পাঁচতলা বাড়ি জি কে শামীমের। বাড়িটি ম্যানেজার হিসেবে দেখাশোনা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন সহ-সভাপতি। বাসাবোতে তার আরও তিনটি ভবন আছে। ডেমরা ও দক্ষিণগাঁও ছাড়াও সোনারগাঁ উপজেলা, বান্দরবান ও গাজীপুরে কয়েকশ’ বিঘা জমি কিনেছেন তিনি।

রাজনীতি ও ঠিকাদারি করার কারণে বেশ প্রতাপ আর প্রভাবের অধিকারী শামীম। অস্ত্রধারী দেহরক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি চলাফেরা করেন। তিনি গাড়িবহর নিয়ে চলাফেরা করেন। তার গাড়ির আগে-পরে থাকে একাধিক গাড়ি।

তিনি নিজেই অনেকটা ভিআইপি মর্যাদার পরিস্থিতি তৈরি করেন। রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে সামাজিক অনুষ্ঠান যেখানেই তিনি যান সঙ্গে থাকে দেহরক্ষী।

সবুজবাগ-বাসাবো এলাকায় জি কে শামীম বেশ পরিচিত। তার ক্ষমতা ও অর্থের দাপট সম্পর্কে এলাকাবাসী ওয়াকিবহাল। তাই কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না।

শুক্রবার সরেজমিন শামীমের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার অভয়ারণ্য গণপূর্ত বিভাগের পরিচিত ঠিকাদারের কাছ থেকেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার নাম শুনেই অনেকে আঁতকে ওঠেন। কথার জবাব না দিয়ে তারা চলে যান।
ভাবশালী এই ঠিকাদারের চলাচল সম্পর্কে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে।

জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড নামের ভবনটির পাশের এক ভবনের কেয়ারটেকার বলেন, ‘শামীম সাহেবের চালাচল ছিল পুরো রাজকীয়। তিনি যখন এখানে আসতেন, সবাই টের পেয়ে যেত। বিশাল দেহরক্ষী নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে তিনি আসতেন। সবসময় তার সঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ জন দেহরক্ষী থাকতেন। এ ছাড়া তার আগে-পিছে কালো রঙের আরও দুটি দামি জিপ গাড়ি থাকতো।’

তিনি বলেন, ‘শামীম সাহেবের গাড়ি যখন এখানে আসতো, কেউ রাস্তায় বের হতে পারতো না। অফিসের সামনে তার গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রসহ দেহরক্ষীরা তার চারদিকে ঘিরে রাখতো। আর সিনেমার স্টাইলে গাড়ি থেকে নামতেন শামীম সাহেব। একবার তার গাড়ি আসার সময় আমাদের স্যারের গাড়ি গ্যারেজ থেকে অর্ধেক রাস্তায় চলে গিয়েছিল। কিন্তু তার দেহরক্ষীরা আমাদের সেই গাড়ি আবার গ্যারেজে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করেছিল। তার গাড়ি চলে যাওয়ার পর আমাদের গাড়ি বের হয়।’

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft