ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ হাসপাতালের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ওই হাসপাতালে আহত আটজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও দুজন নারী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং বাকি ছয়জনের অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক।
যুক্তরাজ্যের পুলিশ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান স্টিভ হোয়াইট বলেন, ‘বুধবার বিকেলের এ ঘটনার পর পুলিশ কর্মকর্তা পরিবারের সদস্যদের কী বলে বোঝাব, তার কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারী হিউনদাই আই৪০ মডেলের একটি প্রাইভেটকার চালিয়ে সেতুতে পথচারীদের ওপর তুলে দেন। এরপর রেলিংয়ের সঙ্গে এর ধাক্কা লাগে। সেখান থেকে ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদের ফটকের ভেতরে চলে যান এবং এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
লন্ডনের পুলিশ জানিয়েছে, এটি সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। পার্লামেন্টের আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির সাংবাদিক লরা কুয়েনসবার্গ জানান, পুলিশ তাঁকে জানিয়েছে, পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, তাঁরা তিন-চারটি গুলির শব্দ শুনেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর তাদের জানানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন নারী মারা গেছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, হামলাকারী এশীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর বয়স ৪০-এর কোঠায়। তাঁর হাতে আট ইঞ্চি লম্বা ছুরি ছিল। তিনি ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে প্রাইভেটকার চালিয়ে কয়েকজনের ওপর তুলে দেন। এতে দুজন রাস্তায় ও একজন নদীতে মারা যান। হামলাকারী সেতু পেরিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদে হামলা চালান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে হামলার সময় পার্লামেন্টে ছিলেন।