খরববাড়ি ডেস্কঃ সীমাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট গাইবান্ধা জেলার মানুষজন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে গড়ে ৬ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন না এ জেলার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকেরা। আবার আকাশে সামান্য মেঘ, একটু বাতাস আরু বৃষ্টি হলে তো কয়েকদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয় এই অঞ্চলের গ্রাহকদের। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র পক্ষ থেকে লোডশেডিং স্বীকার করলেও পুরো দায়ভার দিচ্ছেন জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড আর সিস্টেমের উপর। তবে রমজান মাসের আগেই এই সমস্যা থাকবে না বলে দাবী বিদ্যুৎ বিভাগের।
বিদ্যুৎ বিভ্রান্টের ফলে জেলার অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানা, চিকিৎসাসহ সর্বক্ষেত্রেই চরম বিরম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬ ঘন্টার বেশি কোন দিনই বিদ্যুৎ পাচ্ছে না এ উপজেলার গ্রাহকেরা। আবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘন্টাই বিদ্যুৎ বিহীন থাকে ৯টি উপজেলার মানুষজন। আবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত একই চিত্র। শিক্ষাথীদের পড়ালেখা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানা, চিকিৎসা সেবায় মারাত্মক দুর্ভোগ নিয়েই পার করতে হচ্ছে। যে সময়ে বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন সে সময়ে বিদ্যুৎ এর ন্যুনতম সরবরাহ না থাকায় ক্রমেই বাড়ছে বিদ্যুৎ বিভাগের উপর ক্ষোভ আর অভিযোগ। সাঘাটা উপজেলার ব্যবসায়ী আঃ জলিল মন্ডল জানান বিদ্যুৎ আসে কখন সেটাই তো বিষয়। একই অভিযোগ বোনারপাড়ার সাংবাদিক সোলায়মান আলীর। তিনি বলেন, বিকালে বিদ্যৎ না থাকায় কোন সংবাদই ঠিকমতো পাঠাতে পারছি না।
বিদ্যুৎ এর এমন বেহাল দশা ও লোডশেডিং এর দ্বায় স্বীকার করেন সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আবুল হাসান। তিনি জানান, সাঘাটায় পিক আওয়ারে প্রয়োজন ১০ মে:ওয়াট কিন্ত পাওয়া যায় ৩ মে.ওয়াট একারনেইে জনগণের অসস্তষ্টি। তিনি বিদ্যুৎ প্রাপ্তি ও এর সিষ্টেম সমস্যার কারণেই এই দুর্ভোগ।
গাইবান্ধা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জিএম, জি.এইচ এম ওয়াহিদুল হক বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং এর বিষয়টি স্বীকার করে জানান, গ্রাহকের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ৫০ ভাগ কম। একারণেই লোডশেডিং দিতে হয়। এছাড়াও গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ সমবণ্ঠন করার একটি নির্দেশনাও মন্ত্রনালয় থেকে এসেছে বলে তিনি জানান। বর্তমান সরকার জনগণের মধ্যে নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিভাগ সাধ্য অনুযায়ী কাজ করছে বলে জানান। তবে, রমজান মাসে এই সমস্যা একেবারেই থাকবে না বলে তিনি জানান। বিদ্যুৎ-এর সীমাহীন লোডশেডিং আর ভোগান্তি থেকে গ্রাহকেরা মুক্তির দাবী জানিয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। পাশাপাশি পলাশবাড়ী উপজেলাতেও সীমাহীন বিুদ্যুৎ লোডশেডিং চলছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।