প্রিয় গাইবান্ধাবাসী” গুজব নয় আসুন সত্য ও সুন্দরের পথে ” এই শ্লোগাণ কে সামনে রেখে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা জুড়ে ছেলে ধরা গুজব কে সামনে রেখে যে কোন ধরণের গুজব প্রতিরোধে ব্যাপক ভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষে জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম। আজ ২৪ জুলাই বুধবার এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপরিচিত লোকদের দেখে কথা বার্তা বা কারো সাথে কোন দ্বন্দ হলে ছেলে ধরা গুজব রটিয়ে এক শ্রেনীর উৎসুক জনতা সাধারণ ও ভারসাম্যহীন মানুষ বিনা অপরাধে গণধোলাই দিয়ে প্রান হানি ঘটনা ঘটাচ্ছে।
তিনি, গুজব প্রতিরোধে জেলা জুড়ে জেলা পুলিশের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরে জেলা জুড়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। কোন অপরিচিত কাউকে সন্দেহ হলে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানান । সর্বদা জেলা পুলিশ সজাগ রয়েছে কোন সময় কোন প্রয়োজনে নিম্ন ফোন নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করতে আহবান জানান।
৯৯৯ জরুরী সেবা, সদর থানা গাইবান্ধা ০১৭১৩৩৭৩৮৯২,সাদুল্যাপুর থানা – ০১৭১৩৩৭৩৮৯৩,সুন্দরগঞ্জ থানা-০১৭১৩৩৭৩৮৯৪, পলাশবাড়ী থানা -০১৭১৩৩৭৩৮৯৫, গোবিন্দগঞ্জ থানা- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৬, সাঘাটা থানা – ০১৭১৩৩৭৩৮৯৭,ফুলছড়ি থানা -০১৭১৩৩৭৩৮৯৮ নাম্বার গুলোতে সর্বদা জরুরী পুলিশী সেবা পাবেন সর্বস্তরের মানুষ।
এদিকে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা দুর্গত এলাকার দুঃস্থ মানুষদের কল্যাণে পুলিশের ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে প্রতিদিন পুলিশের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও গত ২০ জুলাই শনিবার বন্যা কবলিত দুর্গম এলাকায় ৪শ’ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার পানি, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৭ জুলাই শনিবারও ৪শ’ পরিবারকে ওই পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এছাড়া পুলিশ লাইনে মহিলা পুলিশদের স্বত:স্ফুর্তভাবে বানানো আটার রুটি বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন বন্যার্ত ৩শ’ পরিবারকে বন্যার পানি না কমা পর্যন্ত ১০টি করে রুটি, ১ বোতল পানি এবং চিনি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হবে। এছাড়া জেলার সাতটি থানা থেকে প্রতিটি ১শ’ পরিবারকে মুড়ি, চিড়া ও চিনি ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়ার ব্যক্তিগত উদ্যোগ, পুলিশের ত্রাণ বাবদ বরাদ্দ থেকেই গাইবান্ধার বন্যা কবলিত বিপন্ন মানুষদের জন্য গাইবান্ধা জেলা পুলিশ ব্যাপক এই ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। যা অব্যাহত থাকবে বন্যার পানি না কমা পর্যন্ত। মিট দ্যা প্রেসে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার আনোয়ার হোসেন, টিআইওয়ান আতাউর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার। জেলার সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা এই মিট দ্যা প্রেসে অংশ নেন। এছাড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রণজিৎ বকসী সূর্যসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো উল্লেখ্য করেন যে, গুজব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাউকে গণপিটুনী দেওয়া ফৌজদারী অপরাধ। তাই নিজে সচেতন হোন অপরকে সচেতন হতে পরামর্শ দিন। গুজব প্রতিরোধে জেলাবাসী সকলে এগিয়ে আসুন। পুলিশ আপনাদের পাশেই আছে।