
গাইবান্ধায় বন্যা কবলিত তিন লাখেরও বেশি মানুষের জন্য ত্রানসাহায্য বৃদ্ধি এবং এলকার নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ও স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহনের দাবিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভালোবাসি গাইবান্ধা, ঢাকা’র আহ্বানে ২৪ জুলাই রোজ বুধবার সকাল ১০:০০ টায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে‘মানববন্ধন’ অনুষ্ঠিত হয়।
ভালোবাসি গাইবান্ধা সংগঠনের সভাপতি গোলাম আশিক যাদুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খন্দকার আব্দুল্যাহেল কাফি-সিনিয়র সহ:সভাপতি, জনাব মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ-সহ:সভাপতি-১, ইঞ্জিঃ মোঃ কামরু জ্জামান-সহ:সভাপতি-২, মোঃ রিজওয়ান আশরাফ এলিচ-সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আবুল হোসেন-নির্বাহী সদস্য, মোঃ নুরুল ইসলাম শাহিন-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১, এসটি শাহীন-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক -২, রায়হানুল ইসলাম আকন্দ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক -৩, খন্দকার শরীফ মোঃ আরিফ ডিউক-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক -৪,এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম-সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ রাজীব সরকার-সহ: সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ আশরাফুল ইসলাম সরকার-অর্থ সম্পাদক, মোঃ সাইফুল ইসলাম-দপ্তর সম্পাদক, মোঃ ফয়জুল ইসলাম-প্রকাশনা সম্পাদক, রাহুল ইসলাম বকুল- ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সভায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিরাম বর্ষনে ও উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রচন্ড চাপে গাইবান্ধা জেলার সকল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং শহররক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে জেলার সকল থানার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পানবিন্দি পরবিারগুলোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানি স্যানটিশেন এবং জ্বালানি সংকট রয়ছে। পানিবন্দি মানুষের দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ বালাই। পাশাপাশি ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া পরিবার গুলোকে রাত জেগে ডাকাত পাহারা দিতে হয়। বন্যায় পানিতে ডুবে অনেকেই মারা গেছে। সড়ক, ব্রিজ ও রেলপথ ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বন্যায় জলোয় ১২ হাজার ৮০৩ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে আছ। রোপা আউশ ৯৭৭ হেক্টর, পাট ২ হাজার ৪৩৯ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ৪৬১ হেক্টর, বিভিন্ন ধরনরে সবজি ২৪৭ হেক্টর, পান ৩ হেক্টর এবং তিল ২৫ হেক্টরসহ ৪ হাজার ১৫২ হেক্টর অন্যান্য ফসলসহ মোট ১৩ হাজার হেক্টর জমরি ফসল পানতিে ডুবে আছ। ১৮০টি আশ্রয়কন্দ্রেে ৭৪ হাজার ১০৪ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেনে। এছাড়া বন্যায় ৫৭৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এবং ২৩৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আংশকিভাবে ক্ষতগ্রিস্ত হয়েছে। ৬৩ কিলোমিটার বাঁধ, ২১টি কালর্ভাট এবং ১০ হাজার ৮৩৩ হেক্টর আবাদি জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মজুদকৃত খাদ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। হাজার হাজার মানুষ বসতভিটা হারিয়ে অনেকে নৌকায়, স্কুল- কলেজের ভবনে, উচু সড়কে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেক পরিবারে দিনে একবারও চুলা জ্বলে না। স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, বন্যা আক্রান্ত লোকজনের তুলনায় সরকারি ত্রাণ সরবরাহ খুবই কম। তাই, অবিলম্বে সরকারি ত্রাণ সাহায্য বাড়ানোর দাবি জানান ভালোবাসি গাইবান্ধা- ঢাকার নেতারা।
নেতৃবৃনদ আরও বলেন, গাইবান্ধায় নদী ভাঙ্গণের ঘটনা নতুন নয়। নদী ভাঙ্গনের কারণে এই এলাকার মানুষ এখনও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়নে এই এলাকায় অবিলম্বে নদী ভাঙ্গণ রোধে কার্যকর ও স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই, গাইবান্ধাবাসীর পক্ষ থেকে এই এলাকার নদী ভাঙ্গণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি করেন ভালোবাসি গাইবান্ধা, ঢাকা সংগঠনের নেতারা।