1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে “ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে গাছ বিক্রি” শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন গাইবান্ধায় বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জাসাসের মতবিনিময় সভা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসব মুখর করতে মাঠ প্রশাসন প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বন্যায় ভেসে যাওয়া ব্রিজ দুই বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ না থাকায় বিশ গ্রামবাসির জনদুর্ভোগ

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০১৭
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

 

এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ ২০১৫ সালে বন্যার ¯্রােতে ভেসে যায় পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শাখা নদীর উপর নির্মিত রামডাকুয়া ব্রিজটি। দুই বছর পার হলেও আজও ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। যার কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ দুই উপজেলার ২০টি গ্রামবাসিকে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে।

২০০৯ সালে তৎকালিন জাপার সাবেক এমপি নিজ অর্থায়নে ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান স্টিমেট ছাড়াই তিস্তার শাখা নদীর উপর ১৫০ ফিট লম্বা রামডাকুয়া ব্রিজটি নির্মাণ করেন। নির্মাণের পর থেকে ব্রিজটি উপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করলে ব্রিজটি অনবরত কাপত। তার পরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করত উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর ও পাশ^বর্তী উলিপুর উপজেলার কাশিম বাজার ইউনিয়নের ২০টি গ্রামবাসি। এছাড়া ওই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২০০ শিক্ষার্থী যাতাযাত করত। ২০১৫ সালে দুই দফা বন্যায় প্রথমে ব্রিজটি দুই পাশ ধ্বসে যায়। পরে দ্বিতীয় দফা বন্যার ¯্রােতে ব্রিজটি সম্পন্নরুপে ভেসে যায়। এরপর স্থানীয় বেলকা ইউনিয়ন আ’লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজি জেলা পরিষদ হতে অনুমতি নিয়ে এসে ওই স্থানে খেয়াঘাট বসিয়ে মনগড়া ভাড়া আদায়ের মধ্য দিয়ে পথচারিদেরকে পারাপার করে আসছে। গত দুই বছরেরও ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ কারণে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ পথচারিদের চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে।

বেলকা ইউনিয়নের ডি ডব্লিউ ডিগ্রী কলেজর শিক্ষার্থী স্মৃতি আক্তার জানান- ব্রিজ না থাকার কারণে খেয়াঘাটে এসে ২০ হতে ৩০ মিনিট বসে থাকতে হয়। সে কারণে যথা সময়ে ক্লাশে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয় না।

ব্যবসায়ী আফছার আলী জানান- মালামাল নিয়ে অতিকষ্টে বিভিন্ন মাধ্যমে উপজেলা শহরে যেতে হয়। বেশ কয়েকবার মালামাল নামা উঠা করায় শ্রমিকদের অনেক পয়সা দিতে হয়। এতে করে ব্যবসায় লাভ তো দুর কথা লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণ হলে এটি হত না।

খেয়াঘাটে ইজারাদার মজিবর রহমান মজি জানান-সাইকেলসহ একজন মানুষ পারাপারে জন্য নেয়া হয় ১০ টাকা, সাধারণ মানুষ ৫ টাকা এবং মোটরসাইকেল পারাপারে নেয়া হয় ২০ টাকা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত রয়েছেন।

পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান-ব্রিজটি বন্যার ¯্রােতে ভেসে যাওয়ার পরপরই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ না পাওয়ায় ওই স্থানে ব্রিজটি নির্মাণ করা এখন সম্ভব হয় নাই। ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়া মত তহবিল হতে পৌর সভার নাই।

উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানান-রামডাকুয়া ব্রিজটির স্টিমেট প্ল্যান তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া জানান- ব্রিজটি নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। আবারও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জরুরী ভিত্তিতে ব্রিজটি নির্মাণ জন্য চাহিদা পত্র অগ্রগামী করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft