
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কালুরপাড়া ও কুমারপাড়া চরের ৪ শতাধিক বানভাসি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সরকারিভাবে দেয়া চাল অথবা শুকনা খাবার ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বন্যাকালিন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান বা সরকারি কোন কর্মকর্তা তাদের কোন খোঁজ খবর না নেয়ায় ভুক্তভোগিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সাঘাটা উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প কর্মকর্তা অফিস সুত্রে জানা গেছে, হলদিয়া ইউনিয়নের বন্যাকবলিত পরিবারদের জন্য ২৩ জুলাই পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪৫ মে.টন চাল ও ১৫০ কার্টুন শুকনা খাবার বিতরণ করলেও ওই ইউনিয়নের কালুরপাড়া ও কুমারপাড়ার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর ভাগ্যে কোন প্রকার ত্রাণ সহযোগিতা জোটেনি।
কুমারপাড়া ও কালুরপাড়া গ্রামের ছাত্তার, আজিজ, মনোয়ারা বেগম,সাফিয়া বেগম,আমেনা বেগম, জেসমিন আক্তার, রুপভান বেগম, আলেফা বেগম, মানিকজান বেওয়া,তাছলিমা বেগমসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, বন্যায় তাদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও কেউ তাদের পাঁশে দাড়ায়নি।
ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার নিজের বাড়ি পানির স্রো ভেসে গেছে। সেই ঘরবাড়ি টানতে গিয়ে আমি পরিষদে একদিন যাইতে পারি নাই। তাই চেয়ারম্যান আমার ওয়ার্ডের কাউকে কোন প্রকার ত্রাণ সামগ্রী দেয় নাই। ত্রাণ না দেয়ার ফলে আমি আমার ওয়ার্ডে জনগণের মাঝে যাবার সাহস পায়নি।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ওই গ্রামের জন্য ৮০টি টোকেন দিয়েছিলাম, মজিদ মেম্বর নেয়নি। পরে সেই টোকেনগুলি ডেপুটি স্পিকার মহোদয় উত্তর দিঘলকান্দি গ্রামের মানুষের মাঝে বিতরন করেছে। যার কারনে তারা ত্রাণ বঞ্চিত হয়েছে।
এদিকে সাঘাটা উপজেলা প্রকল্প ও ত্রান কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ড সাংবাদিদের জানান, কালুরপাড়া ও কুমারপাড়ার প্রতিটি পরিবারেই ত্রাণ পেয়েছে।