
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে খামারের মাছ চুরির মামলায় জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে ৬ জনকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ২১ জুলাই রবিবার আদালত এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর কালির খামার গ্রামে স্থানীয় কিছু মৎস্য চাষী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের পরিত্যক্ত জলাশয় শর্তসাপেক্ষে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। বর্তমানে বন্যায় ইজারাকৃত খামারের মাছ বের হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চারপাশে নেট জাল দিয়ে ঘিরে রাখেন মাছ চাষীরা। কিন্তু প্রতিহিংসা বশত: গত ১৮ জুলাই স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জোরপূর্বক মাছ ধরে এবং খামারের নেট জাল খুলে দিয়ে যায়। এতে খামারের অনেক মাছ বের হয়ে যায়। এসময় মৎস্য চাষীরা বাঁধা প্রদান করলে তারা হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এ ঘটনায় মৎস্য চাষী সমিতির সভাপতি মিনারা বেগম ১৯ জুলাই ৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৪। এ মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন।
এরা হলেন উত্তর কালির খামার গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে ছামছুল হক, মৃত জেহারত উল্ল্যার ছেলে নুরুল হক ও নুরুল হকের ছেলে বেলাল হোসেন।
আটককৃতদের পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে বাকি ৩ আসামী উত্তর কালির খামার গ্রামের নুরুল হকের ছেলে বাবলু মিয়া, মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের ছেলে মোস্তা মিয়াসহ ৬ জন জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে সকল আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। কোর্ট জিআরও বেলাল হোসেন জেল হাজতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।