
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২১ মে সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় আরব-ইসলামিক-আমেরিকান সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিত কর্মপন্থা নির্ধারণে একগুচ্ছ প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।
তিনি তাঁর প্রস্তাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান এবং এই ভয়াবহতা দমনে দেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের অনেক দেশ, আরব বিশ্ব ও অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগন এ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই হবে সৌদি আরবে ট্রাম্পের প্রথম সফর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী আজ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের প্রাক্কালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্মেলনে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমন, প্যালেস্টাইন ইস্যু এবং বিদ্যমান আঞ্চলিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে এই সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বৈশ্বিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় নতুন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের মূল্যবোধের বিকাশ এবং জোরদারে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের দু’টি বড় মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে ২০ থেকে ২৩ মে সৌদি আরব সফর করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটাকে আরব-ইসলামিক-আমেরিকান এ্যালায়েন্স বলা প্রি-ম্যাচিউর হবে। কারণ এটি এখনো এ ধরনের কেবল প্লাটফরমে রূপ নেয়নি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ আলী বলেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশ সৌদি আরবে অবস্থিত দুই পবিত্র মসজিদ রক্ষায় সৈন্য পাঠাবে। সেখানে কোন রকম হুমকি দেখা দিলে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনোভাব ও দুই পবিত্র মসজিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন বিষয়টি বিবেচনায় থাকবে।
তিনি বলেন, সম্মেলনে যোগদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর বাংলাদেশ ও সৌদি আরব এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২২ মে মহানবী (সঃ)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত এবং ওমরাহ পালন করবেন। তিনি ২৩ মে দেশে ফিরবেন।সূত্র- বাসস