
খাদ্যে ভেজাল ও নকল ঔষধ প্রস্তুতকারীর সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘চ্যারিটি মানব কল্যাণ সোসাইটি অব বাংলাদেশ’। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর চ্যারিটি মানব কল্যাণ সোসাইটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ‘খাদ্যে ভেজাল ও নকল ঔষধ প্রস্তুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি’ নিয়ে করা মানববন্ধন কর্মসূচীতে এমন মন্তব্য করেন লেখক, গবেষক, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মকসুদ বলেন, আজকে সমাজের খাদ্যে ভেজাল ও নকল ঔষধ প্রস্তুতকারীর সাথে যারা জড়িত তারা ফৌজধারী অপরাধে অভিযুক্ত। তাদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান করতে হবে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। অন্যথায় এই ধরনের অপরাধ থেকে জাতির মুক্তি অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ খাদ্যে ভেজাল ও নকল ঔষধ প্রস্তুতকারী নিজের ব্যক্তিগত মুনাফা লাভের আশায় আজ পুরো মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, খাদ্যে ভেজাল ও নকল ঔষধ প্রস্তুতকারী ব্যক্তি দেশ ও জাতির শত্রু। তারা ব্যক্তিগত মুনাফার লোভে এই দেশের জনসাধারণকে পয়জনিং এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে হত্যায় লিপ্ত আছে। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন আজাদ।
সংগঠনের সভাপতি এম নূরুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, বিশিষ্ট আইনজীবী মাহবুবুর রহমান, বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বিলু, বাকশালের মহাসচিব জহিরুল ইসলাম কাঈয়ূম, আসক ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহবুদ্দিন, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজ মোল্লা, সহ-সভাপতি বোরহান উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম পিন্টু, মোহাম্মদ ইলিয়াস, জাকির হোসেন, আকাশ খান, রশিদ ফলান প্রমুখ।