1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা সারা দেশে ৫.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত গাইবান্ধায় নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলা ছাত্রশিবিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ সাদুল্লাপুরে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আয়োজনে গাইবান্ধায় মানব পাচার শীর্ষক আলোচনা সভা ত‌ারাগ‌ঞ্জের জয়বাংলা বাজারে গণশৌচাগারে তালা: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ পলাশবাড়ীতে খেলার জগৎ মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদা উপজেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ ক্ষুদে শিল্পীদের মননে সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে পলাশবাড়ী উয়ন্নন ফোরামের নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভবন সংকটে থমকে গেছে “দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” পাঠদান কার্যক্রম ।

সংরক্ষিত আসনের এমপিকে শোকজ, কী হচ্ছে জাতীয় পার্টিতে?

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ২ জুন, ২০১৯
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আছেন চারজন।

এদেরই একজন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। আর নোটিশকে কেন্দ্র করেই দলটির মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দল আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

বিবিসি বাংলাকে মিস্টার রাঙ্গা বলছেন, মনোনয়ন দেয়ার সময় মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী অঙ্গীকার করেছিলেন যে তিনি চট্টগ্রামে দলকে সুসংগঠিত করতে ভূমিকা রাখবেন, সেখানে অফিস নেবেন, দল চালাবেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।

“এছাড়া দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে তার চাঁদা দেয়ার কথা। তাও দিচ্ছেন না তিনি। যাদের চাঁদা বাকী আছে তাদের সবাইকেই চিঠি দেয়া হবে। উনাকে দশ দিন সময় দেয়া হয়েছে। উনার জবাব পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

তবে ৭২ বছর বয়সী মিস চৌধুরীর পক্ষে তার ছেলে বলেছেন, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তার মা জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত। এখন দলের মধ্যে তিনি জি এম কাদেরর পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণেই তাকে হেয় করার চেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন তারা।

কী আছে শোকজ নোটিশে?
মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয় হিসেবে বলা হয়েছে: ‘সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত) হওয়ার পর অঙ্গীকার ভঙ্গের নোটিশ প্রসঙ্গে’।

মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী উল্লেখ করে লেখা এ চিঠির একাংশে লেখা হয়েছে, “জাতীয় পার্টির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ফোরামে কিছু শর্ত সাপেক্ষে আপনাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। … কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনার অঙ্গীকারগুলো আপনি যথাযথভাবে পালন করেননি। অন্যদিকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে আপনার মাসিক চাঁদা দুই বছর যাবত পরিশোধ করেননি।এ অবস্থা দল থেকে কেনো আপনাকে অব্যাহতি দেয়া হবেনা – তা আগামী দশ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জমা দিতে অনুরোধ করা হলো।”

যদিও মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী বলছেন, তিনি কোন চিঠি পাননি।

কী অঙ্গীকার করেছিলেন জাতীয় পার্টির এমপিরা?
মসিউর রহমান রাঙ্গা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, এলাকায় সংগঠনকে শক্তিশালী করা বা সংগঠনের কাজ করার কথা ওই চিঠিতে বোঝানো হয়েছে।

তার মতে, এখানে আর গোপন কোন অঙ্গীকার ছিলো না।

মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর পক্ষে তার ছেলে সানজিদ রশীদ চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, দলের একটি মহল তার মাকে হেয় করতে চাইছে।

“দলের রাজনীতিতে আমার মা জি এম কাদেরের অনুসারী। এ কারণেই একটি গোষ্ঠী তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিবো।”

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলছেন, মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর জবাবের অপেক্ষায় আছেন তারা।

“তার ছেলের কথা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জাতীয় পার্টির কেউ নন। যাকে শোকজ করা হয়েছে তিনি জাতীয় পার্টির এমপি। তিনি যে জবাব দেবেন সেটিই আমরা বিবেচনায় নিবো।”

কিন্তু এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে আর কোন গোপন বিষয় ছিলো কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ের বাইরে আর কোন চুক্তি বা অঙ্গীকার নেই।

তিনি জানান, দল চালাতে অর্থ প্রয়োজন হয় এবং নেতাদের সবার তাই দলীয় চাঁদা পরিশোধ করার কথা। এটি যারা করেননি সবাইকেই নোটিশ পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ হয়েছিলো। দলটির নেতাদের অনেকেই প্রকাশ্যে মনোনয়নের জন্য টাকা দিয়েও মনোনয়ন পাননি বলে অভিযোগ করেছিলেন। পরে সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগের মুখে পড়েছিলো জাতীয় পার্টি।

শোকজ নোটিশ, ‘গোপন চুক্তি’- কী বলছেন জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে ইতোমধ্যেই জি এম কাদেরের নাম ঘোষণা করেছেন দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।

মিস্টার কাদের বলছেন, এমপি হওয়ার জন্য কোন শর্ত দেয়া বা এ ধরণের বিষয় উল্লেখ করে চিঠি দেয়ার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।

“কেউ যদি এ ধরণের শর্তযুক্ত চিঠি দিয়ে থাকে আর কেউ যদি সেটি গ্রহণ করে সেটি তাদের বিষয়। এখানে জাতীয় পার্টির কোনো দায় নেই। কারণ আইন বহির্ভূত কোন প্রক্রিয়া আমাদের দল অনুসরণ করে না।”

মিস্টার কাদের বলেন, নেতা-কর্মীদের দলীয় মাসিক ফি প্রদানের বিষয়ে একটি চিঠির কথা তিনি শুনেছেন, তবে এতে অন্য কোন বিষয় ছিল কি-না সেটি তিনি জানেন না।

নারী আসনে মনোনয়ন পেতে কোন বিশেষ অঙ্গীকার করতে হয়েছিলো কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির আরেকটি এমপি রওশন আরা মান্নান বলছেন, তারা এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য না করার জন্য ‘ওয়াদাবদ্ধ’।

“অনেক ধরণের ব্যাপার থাকে দলের মধ্যে। এসব বলা যাবেনা। অনেক কিছুই দলকে বিবেচনা করতে হয়। আর নেতা-কর্মীদেরও এমপি হবার শখ থাকে। এর বাইরে আর কিছু বলা যাবে না।”

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft