
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলছেন, সরকারের কুট কৌশলের কারণে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় সফল হতে পারছিনা। তারপরও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমাদের আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে এবং তার সাথে সাথে আমাদেরকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মওদুদ আহমদ।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বর মানব্বন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, প্রথমে চকবাজারের পরিত্যক্ত ভবনে বেগম জিয়াকে রাখা হলো। সেখানে কোনো ধরণের সুযোগ-সুবিধা ছিল না। একটা নির্জন কারাগারে বেগম জিয়া একাকী জীবনযাপন করেছেন। এতে করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার এই অসুস্থতার জন্য এই সরকারই দায়ী। এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে যে খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম, কেরানীগঞ্জে একটা উপজেলা। সেখানে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা নাই। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে যে পরিবেশ থাকার প্রয়োজন সে ধরণের কোনো পরিবেশ ওখানে নাই।
তিনি আরো বলেন, সংবিধানে একজন নাগরিককে যে মৌলিক অধিকার দেয়া হয়েছে সেই অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এজন্য আমরা খুব শিগগিরই কোর্টে কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপন নিয়ে চ্যালেঞ্জ করবো। এবং এটা আমরা করতেই থাকবো। কারণ আমাদের অন্য কোনো উপয়া নাই। আইন বলে, যেখানে ঘটনা ঘটে সেখানেই বিচার করতে হবে। কিন্তু সেখানে না করে কেরানীগঞ্জের করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।