ছাত্রলীগের সদ্যপ্রকাশিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা পুনর্গঠনে আল্টিমেটাম দিয়েছেন পদবঞ্চিত নেতারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফুদ্দিন বাবু লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। দাবি মানা না হলে অনশন ও গণপদত্যাগ করা হবে। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের ঢাবি শামসুন্নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী বক্তব্য দেন। যিনি নতুন কমিটিতে উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন।
ডাকসুর সদস্য নিপু তন্বী বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিতর্কিত ওই কমিটি ভেঙে না দিলে বিক্ষোভ, অনশনসহ আমরা গণপদত্যাগ করব।
গতকালের হামলায় আহত রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার বলেন, তদন্ত কমিটি মানি না। যারা হামলা করেছে, তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শোভন-রাব্বানীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আবার তারা হামলাকারীদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে।
এ সময় জসীম উদ্দিন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান বলেন, আমরা কোনো আওয়ামী লীগ নেতার আশ্বাসে আর আশ্বস্ত হতে চাই না। ডাকসু নির্বাচনের আগেও আশ্বস্ত করা হয়েছিল। তারা ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন।
তবে তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি যে নির্দেশনা দেবেন, মেনে নেব। তিনি ছাড়া কোনো নেতার কথায় কাজ হবে না।
গতকাল সোমবার ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। এরপর থেকেই পদবঞ্চিতরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মারামারিও হয়।
প্রসঙ্গত: গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রায় আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য পদগুলো ছিল ফাঁকা। গতকাল সোমবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের গত কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিভিন্ন পদে থাকা বেশ কয়েকজন এবার কমিটিতে জায়গা পাননি। আবার অনেকে পদ পেলেও তা তাঁদের মনঃপূত হয়নি। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।