
সরকার বলেছিল, রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়বে না। অথচ রমজানের শুরুতেই বাজার অস্থির। বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘বাজারদরের মতোই সরকারের ভেতর চলছে অস্থিরতা। সরকারের সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির কারণেই দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে পিষ্ট জনগণ। গণতন্ত্রহীনতা ও দারিদ্র্যের কারণে প্রান্তিক মানুষগুলোর অধিকার বৃদ্ধির সুযোগ ক্রমাগত নিঃশেষিত হচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সিয়াম সাধনার এই মাসে মানুষের চরম কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘবে মিডনাইট নির্বাচনের সরকারের যেন কোনো দায়বদ্ধতা নেই। উদাসীন ভ্রুক্ষেপহীন তারা। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ক্রেতারা। মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। স্বল্প আয়ের মানুষ রমজানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়বে না। অথচ রমজানের শুরুতেই বাজার অস্থির।’
রিজভী আরো বলেন, ‘এই রমজান আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এক বড় আশীর্বাদ। এই মাস শিক্ষা দেয় সংযম-সৌহার্দ্য-সহনশীলতা-সহমর্মিতা। কিন্তু বাস্তবে সরকারের লোকজনের মধ্যে তার কোনো প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে না।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে না ঘোষণার পরদিন থেকেই হু-হু করে দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যের। বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে তিন থেকে চার গুণ। অন্যদিকে বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্যের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ না করে প্রমাণ করেছে, নাগরিক সেবায় তারা ব্যর্থ।’
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘রোজার মাসের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন গরু ও খাসির গোস্তের দাম কেজিপ্রতি যথাক্রমে ৫২৫ ও ৭৫০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর গোস্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ এবং খাসির গোস্ত ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা এর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত খাজনা ও সরকারি লোকজনের চাঁদা আদায়কে দায়ী করছেন। তাঁরা বলছেন, পশুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে প্রতি কেজি মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এই চাঁদাবাজির অর্থ যাচ্ছে সরকারের ওপর মহলে।’