সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ বিধি মোতাবেক আবেদন জানিয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দেয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ ১৮ বছরেও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের মজিবর রহমান বাদশার রাইচ মিলে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেনি। ফলে এখন পর্যন্ত ওই রাইচ মিলটি চালু করা সম্ভব না হওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক ওই অসহায় ব্যবসায়ি চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, মজিবর রহমান বাদশা বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি নামক স্থানে রাইচ মিল স্থাপনের জন্য একটি শিল্প মিটারের সমীক্ষা ফি জমা দিয়ে ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরমধ্যে ২০০৮ সালের আবেদনে স্থানীয় সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনেরও সুপারিশ রয়েছে। সে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী ২০১১ সালে কিলোওয়াট প্রতি ২ কিলোওয়াটের জন্য ৬৩ হাজার ৪শ’ ৪৬ টকা জমা করে। এরপর শুধুমাত্র ৩০ কিলোওয়াটের ট্রান্সফরমার উঠানোসহ যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ।
এদিকে নিজেও রাইচ মিল, চাতাল, ঘর-দরজা নির্মাণসহ সবকিছুই সমাধা করে নেন মজিবর রহমান সরকার। এতে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুতিক সংযোগ না পেয়ে সে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এব্যাপারে মজিবর রহমান সরকার বাদশা বলেন, তার আবেদনের পরে ৩ ব্যক্তি সংযোগ চেয়ে আবেদন করে তারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ তার কাছ থেকে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ শটিবাড়ির এক কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ না দিয়ে তার নামে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে একাধিকবার ডিমান্ড ফি বাবদ টাকা জমা দেয়ার নোটিশ ইস্যু দেখানো হলেও সে কোন নোটিশ পাননি। সে আরও জানায়, তার জামানত স্বরূপ জমাকৃত টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বিগত দেড় যুগেও সংযোগ না দিয়ে হয়রানী করছে। এব্যাপারে সে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।