
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমরা সব সময় চাই দেশের মানুষ যেন জঙ্গিবাদ উগ্রবাদ থেকে নিরাপদে থাকে সেজন্য আমরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে গতকালের ঘটনার পর আমরা সর্তক অবস্থায় আছি। আমরা গতকালই রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে র্যাবের টহলদারি বৃদ্ধি করেছিলাম। ওই ঘটনা থেকে আমরা বার্তা গ্রহন করে সর্বোচ্চ সতর্ক আছি।
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজনে সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে তথ্য প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এফডিসির অডিটোরিয়ামে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার উগ্রবাদ বৃদ্ধির প্রধান কারণ’ বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের পক্ষে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ ও বিপক্ষে দারুননাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা অংশ নেয়।
বেনজীর আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, এটি বৈশ্বিক অভিশাপ। বিশ্বের কোন দেশই সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয়। আমাদের সবাই মিলেই এ বিষয়টি মোকাবেলা করতে হবে।
র্যাব ডিজি বলেন, বাংলাদেশের সরকার, জনগণ, সাংবাদিকরা সবাই সন্ত্রাসবাদ উগ্রবাদের বিরুদ্ধে। তাই এসব আমরা দমন করতে পেরেছি। এটাই আমাদের মূল শক্তি। আমরা এখন এমন একটা পর্যায়ে এসেছি যে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিষয় নিয়ে অনেকের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি।
এরআগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেনজীর আহমেদ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আপনারা যা যা দেখবেন তার সব বিশ্বাস করবেন না। দেখেশুনে বুঝে বা বিচার বিশ্লেষণপূর্বক সব বিশ্বাস করবেন। অর্থাৎ গুজবে কান দেবেন না। এই গুজব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরা টিভিসিও তৈরী করেছি। নির্বাচন সহ বিভিন্ন আন্দোলনের সময় এসব গুজব আমরা লক্ষ্য করেছি। আমাদের তথ্য-প্রযুক্তির এমন অপব্যবহার রোধ করতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে যে ইসলামকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে তার বিপরীতের যুক্তিও ইন্টারনেটে আছে। সেগুলোর প্রচার বাড়াতে হবে।
মাদ্রাসা টুপি আর দাড়ির কারখানা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদ্রাসাও একটি জ্ঞান আহরণের স্থান। এটা সম্পর্কে আমাদের যে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়ে রয়েছে তাও দূর করতে হবে। তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সেটা হলো- কোরআন শরীফ হচ্ছে একটি বিশুদ্ধ জীবন বিধান। সেখানেও বলা আছে তোমরা তোমাদের যুগোপযোগী জীবনবিধান এই কোরআনের আলোকে বের করে নাও। এ দায়িত্ব ইসলামিক চিন্তাবিদদের। যারা এই মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে বোঝাতে হবে ইসলাম কতটা উদার। এই ইসলামে জঙ্গিবাদের জায়গা নেই তাও পরিস্কার করে তুলে ধরতে হবে।