
বনানীর বহুল আলোচিত ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের জামিন বাতিল করেছেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালত সাফাতের জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।পাশাপাশি কারাগারে থাকা একই মামলার আসামি সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফের জামিন আবেদনও বাতিল করেছেন।
সাফাতের আরেক আইনজীবী মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা জানান, মামলায় মোট ১৪ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভিডিও এবং ফরেনসিক রিপোর্টেও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, মামলার ভিক্টিমকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল আজ (বুধবার)। আদালতে তাদের জেরা করে আসামিপক্ষের আইনজীবী। তবে তাকে জেরা করা শেষে না হওয়ায় আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী জেরার জন্য নতুন করে দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক তরুণী।
এজাহারভুক্ত অপর চার আসামি হলেন- পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ, সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ (সিরাজগঞ্জের আবদুল হালিম), সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত)।
৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
১৩ জুলাই ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামি সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ (১) এর ৩০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ২৯ নভেম্বর সাফাত আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেন একই বিচারক। এর আগে বিভিন্ন সময় আসামি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং বন্ধু সাদমান সাকিব জামিন পেয়েছেন। এখন শুধু নাঈম আশরাফ কারাগারে রয়েছেন।