
বিএনপির ভাই-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভেবে-চিন্তে কর্মসূচি দিন, আগে দেখুন আমাদের(বিএনপি) প্রতিপক্ষ কে? আমাদের মূল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর রমনা অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ দেশব্যাপী বিএনপি’র কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি, নির্বাচনের নামে নাটক হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দলটির প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মোহাম্মাদ নাসিম মন্ত্রী হতেন। তারা কেউ মন্ত্রী হননি, কারণ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন নাই। অন্য কোথাও থেকে তালিকা এসেছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটির ভাই-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আপনারা ভেবে-চিন্তে কর্মসূচি দিন, আগে দেখুন আমাদের প্রতিপক্ষ কে? আমাদের মূল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কৃষকদলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আমাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোন লড়াই হয়নি, আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দী ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই আমাদেরকে ভেবে চিন্তে কর্মসূচি দিতে হবে।’
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘৯ বছর পর গতকাল ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে মিছিল করেছে। এইভাবে ভয়কে জয় করতে হবে। আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি তাদের এই ক্যাম্পাসে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যে আন্দোলন গড়ে উঠবে সেটির মধ্য দিয়ে মিথ্যা মামলায় ১ বছর ধরে কারাবন্দি আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরান্মিত হবে।’
আন্দোলন ছাড়া কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় মন্তব্য করে দুদু আরও বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র আইনজীবিরা স্পষ্ট করে বলেছেন বিচারালয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি আর সম্ভব নয়। তাঁর মুক্তির একমাত্র পথ রাজপথ।’