
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছেন এ হলিউড অভিনেত্রী। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত হয়ে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি জানান, মিয়ানমারে যারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। নির্যাতিতরা তাকে বলেছেন- হয় আমাদের বাংলাদেশে রাখ নইলে গুলি কর। কিন্তু রাখাইনে ফেরত দিও না।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন এই বিশেষ দূত।
হলিউড অভিনেত্রী বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের যেন ফেরত পাঠানো না হয় সেটি দেখা এখন সবার দায়িত্ব। মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
এত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও অন্য সুবিধা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
হলিউড এই অভিনেত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যাটা এত বড় যে বাংলাদেশের পক্ষে একা সামলানো সম্ভব নয়। তাই সবার সহযোগিতা দরকার।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেই প্রথমবারের মতো নিবন্ধিত হলো। এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশে অবস্থানরত এসব রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২১ মে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দেখতে এসেছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।