
পীরগঞ্জ, রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগঞ্জ সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। উক্ত উপজেলায় প্রায় ৪৫টি ইট ভাটা গড়ে উঠলেও অধিকাংশ ভাটার নিবন্ধন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই।
নেই আয়কর জমার কোন কাগজ পত্র। রাজনৈতিক ক্ষমতা,পেশী শক্তির জোড়েই চলছে ইঠ ভাটার রমরমা বানিজ্য।আবাসিক,কৃষিকাজে চাষযোগ্য জমিতে রাতারাতি তৈরী করা হচ্ছে লাভ জনক ব্যবসা ইট ভাটা।শুধু তাই নয় ইট ভাটার ট্রলি ও মহেন্দ্র চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রান দিতে হয়েছে অনেক শিশু, যুবক,ও বৃদ্ধকে। চৈত্রকোল ইউনিয়ের বিল সংলগ্ন আতোয়ারের E.S.B. ভাটায় গত ৮ই জানুয়ারী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি, ভ্রাম্যমান আদালত গঠনের মাধ্যমে জ্বালানি হিসাবে কাঠ পোড়ানো কারনে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গত ২১শে জানুয়ারী ঐ ইট ভাটার ট্রলির চাপায় প্রান দিলো মটরসাইকেল আরোহী আজমল (৪০)।
এর পরে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে জ্বালানি হিসাবে কাঠ ব্যবহার করছে অবাধে। এলাকার বাসীর অভিযোগ তিনি সরকারীর কোন নিয়ম না মেনেই আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলেন ইট ভাটা। সেখানেও ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ।
বিট বালুর সাথে লাল মাটি মিশিয়ে তৈরী করা হয় নিম্ন মানের ইট। এছাড়াও আরো একটি অভিযোগ উঠেছে, মোনাইল মৌজায়, আশরাফুলের A.B.H. ইট ভাটার সেখানেও জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ।
সংবাদ সংগ্রহের জন্য সরেজমিনে গিয়ে, কথা হয় ভাটা মালিকের সাথে তিনি বলেন, কি লিখবেন লেখেন, সবাই যে ভাবে জ্বালানি ও মাটি ব্যবহার করে আমিও তাই করি। সবার চললে আমারও চলবে। সবার বন্ধ হলে আমারও বন্ধ হবে। আপনারা আমার কিছুই করতে পারবেন না।
এছাড়াও লালদিঘী বাজারের (S.B.S) শরিফুল ইসলাম, কাঞ্চনপুরের (A.B.S), (M.U.M),(S.F.B) মাজেদা, (M.A.B) হাবিবুর চতরা, (P.K.B) আবুল কালাম পত্নিচড়া, (S.R.M) মোনাইল, উল্লেখিত ইট ভাটা মালিকগন একই কথা বলেন।
বেশ কয়েককি ইট ভাটায় গিয়ে একই পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। এভাবে চলতে থাকবে আর কত দিন।আইনের শাসন কি দেশে নেই এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকার ভুক্তভোগি জনসাধারনের মাঝে।।