1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন গাইবান্ধায় বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জাসাসের মতবিনিময় সভা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসব মুখর করতে মাঠ প্রশাসন প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি-বহির্ভূত ৫৭টি আদেশে ডিপিসি স্থবির—১২ বছরেও প্রথম পদোন্নতি পাচ্ছেন না বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা।

বিষবৃক্ষ তামাক চাষের কবলে দৌলতপুরের ফসলি জমি

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ
দিনে দিনে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে ফসলি জমি। তার সাথে হচ্ছে স্বাস্থ্যের হানি। ধ্বংসলিলায় যুক্ত নানাবিধ প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্যতম প্রধান হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে তামাক চাষ। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না তামাক চাষ।

শুরুটা বৃহত্তর রংপুরে হলেও তামাক চাষ ক্রমেই পদ্মা নদী ধোয়া কুষ্টিয়া দৌলতপুরের চরাঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে বিষবৃক্ষ তামাক চাষ। যে জমিতে কিছুদিন আগেও ধান, গম, পাট আখ ও সব্জির আবাদ হতো এখন সে সব জমিতে এবার ৪ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে বলে জানান দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম কামরুজ্জামান।

তার মতে তামাক কোম্পানিগুলোর কৌশল ও লোভনীয় অফারে প্রতিবছর শত শত একর ফসলি জমি চলে যাচ্ছে বিষবৃক্ষ নামক তামাক চাষের আওতায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে খাদ্য নিরাপত্তা।

দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু জানান, তামাক চাষে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ব্যবহার করছে কোম্পানীগুলো। নানা কৌশলে চাষিদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে তারা। বিষবৃক্ষ তামাকের ক্ষতির বিভিন্ন দিক স্বীকার করে তিনি বলেন, চাষীরা জেনেশুনে বিষবৃক্ষ তামাকের চাষ করছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা বিষবৃক্ষ তামাক চাষে এলাকার কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে। বীজ,সার থেকে শুরু করে বীজতলা পর্যন্ত তাদের তত্বাবধানে করা হয়।

কুষ্টিয়া দৌলতপুরের বিষবৃক্ষ তামাক পাতা চাষের সর্ব বৃহৎ ক্রেতা হল বিএটি। তারপর রয়েছে ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানি। কোম্পানিগুলিন পক্ষথেকে কৃষকদের বিষবৃক্ষ তামাক চাষের জন্য বিশেষ সুযোগ দেখানো হয়। তামাক কোম্পানি সরাসরি জমির মালিকের সাথে চুক্তি করে এবং একটি কার্ড দিয়ে থাকে। কোম্পানির কাছ থেকে জমির মালিকরা আগাম অর্থ সহযোগীতাও পায়। অধিকন্ত, পাতার দাম আগেভাগেই ঘোষনা দিয়ে কৃষকদের লোভকে উস্কে দিয়ে আরও উচ্চে তুলে ধরা হয়।

তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি’র ওপরই চলছে, তামাক কোম্পানীর অশরীরি নিয়ন্ত্রণ। যে কারনে দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনো চলছে অবাধে তামাক চাষ।

স্থানীয় লোকজন জানান, এই ভাবে তামাক চাষ বাড়তে থাকলে পুরোদমেই বন্ধ হয়ে যাবে অন্যান্য ফসলী আবাস। অন্যান্য আবাদের চেয়ে তামাক চাষ লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে কৃষকরা সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। তামাকের আবাদ বেড়ে যাওয়ায় দৌলতপুরের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এ বিষয়ে চিকিৎসকরা প্রতিবেদককে জানান দীর্ঘদিন তামাক চাষে যুক্ত থাকলে ক্যান্সার, পেট, বুক ও ঘাড়ে ব্যাথা সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

ছবির ক্যাপশনঃ দৌলতপুরের হরিণগাছি মাঠ জুড়ে শুধুই তামাক।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft