
মোঃ মোস্তফা মিয়া, পীরগঞ্জ, রংপুর।
রংপুরের পীরগঞ্জে ইক্ষু চাষীরা চরম বিপাকে, ইক্ষু দিলেও টাকা না পাবার অভিযোগ। রংপুর চিনিকল মহিমাগঞ্জ মিল এর অধীনে, পীরগঞ্জে ৬টি ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র চলতি বছরে ইক্ষু সংগ্রহ শুরু হয়েছে গত ৬ই ডিসেম্বর ১৮ইং তারিখে।
কিন্তু গত ১৫ই ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত কৃষকদের ইক্ষুর মুল্য দিলেও ১৫ই ডিসেম্বরের পর থেকে আর কোন টাকা কৃষক/চাষীদের দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া যে ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে ইক্ষু ওজন করা হয় সেটিও ওজনে সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে পত্নীচড়া ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের দ্বায়িত্বে থাকা সি,আই,সি, বিমল চন্দ্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৫ই ডিসেম্বরের পর থেকে চাষীদের পাওয়া টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয় নি। সপ্তাহে দুদিন চাষীদের টাকা পরিশোধ করতে পারলে চাষীরাও ইক্ষুচাষে উৎসাহীত হত।
আর ডিজিটাল মেশিনটি ওজনে সমস্যা দেখা দিয়েছে, আমি মিল কর্তৃপক্ষকে একাধিক ভাব জানিয়েছি। তবে দ্রুত মেরামত করা হবে। সার্বিক বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,পীরগঞ্জের ৬টি ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র, (১)পত্নীচড়া, (২)চতরা, (৩)গোপীনাথপুর, (৪)রায়পুর, (৫)ফলিয়ারবিল,(৬)জাফরপাড়া।
আমাদের এ বছরে লক্ষ্য মাত্রা ৫ হাজার, মেট্রিকটন নির্ধারন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা সংগ্রহ করেছি ৩,হাজার মেট্রিকটন। আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের ৫/৬পর্যন্ত আমরা ইক্ষু সংগ্রহ করবো। ইক্ষু চাষীরা তাদের ইক্ষু নিজেরাই মাড়াই করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মিল কর্তৃপক্ষ কৃষকের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কৃষক তাদের আবাদে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, ইক্ষু মারাই করছে, এমনকি চাষের ও অনিহা প্রকাশ পরছে।
এমন পরিস্থিতিতে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অজর্নের সম্ভাবনা খুবই কম। মিল কর্তপক্ষ টাকা না থাকায় প্রতিদিন ইক্ষু শুকিয়ে যাচ্ছে। এতেও আমাদের অনেক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন কৃষক যেমন হয়রানী হচ্ছে, তেমনি যারা আমরা বিভিন্ন ক্রয় কেন্দ্র আছি তারা ও অপমানিত ও লান্ঞ্চিত হচ্ছি।
মিল কর্তপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন যত তাড়াতাড়ী কৃষক/চাষীদের পাওয়া টাকা পরিশোধের করা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহন করুন।