
খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সদরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এস.এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবিন কর্মচারি আব্দুর রহমান (৬০) তার প্রিয় কর্মস্হলেই ইন্তেকাল করেছেন(ইন্না লিল্লাহি.. রাজিউন)।
সদরের নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান দীর্ঘ বছর ধরে নৈশ প্রহরি এবং তার স্ত্রী শান্তি বেগম একই সাথে-একই প্রতিষ্ঠানে আয়া পদে চাকুরি করে আসছিলেন। নৈশ প্রহরি পদে চাকুরির সুবাদে তিনি স্ত্রী শান্তি বেগমসহ দিন-রাতেই ওই বিদ্যালয়েই বসবাস করে আসছিলেন।
তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জটীল রোগে ভুগছিলেন। সময়ের ব্যবধানে গত কয়েকদিন ধরে তার অসুস্হতা বেড়ে যায়। অন্যান্য দিনের ন্যায় সোমবার রাতে রহমান-শান্তি দম্পতি রাতের খাবার শেষে
ঘুমিয়ে পড়েন।
শেষ রাতের দিকে তার অসুস্হ্যতা বেড়ে অবনতি ঘটে। ক্রমান্বয়ে আব্দুর রহমান আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। এক পর্যায় মঙ্গলবার ভোর ৬ টার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
মূহুর্ত্বের মধ্যেই তার আকস্মিক মৃত্যুর খবর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক-ছাত্র,অভিভাবক,পার্শ্ববর্তি ঘনিষ্টজন ও ঘনিষ্টজনসহ শুভাকাঙ্খিদের মধ্যে জানাজানি হয়।
সর্বস্তরের পরিচিত অসংখ্য গুনগ্রাহী ছোট-বড় সবার বিশ্বস্ত প্রিয় ব্যাক্তিত্ব রহমান চাচা’র আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরেই প্রেস ক্লাব (গাইবান্ধা রোড),সভাপতি মনজুর কাদির মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ কবির সুমন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি,সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মওদুদ,লাইফ সরকার ও ফরিদ, অত্র বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সুশীল সরকারসহ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-সহকর্মিরা
ছাড়াও সর্বস্তরের স্হানীয়রা তাকে এক নজর দেখার জন্য বিদ্যালয় চত্বরে ছুঁটে আসেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের সহঃ প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র সরকার,সহঃ শিক্ষক শফিউল আলম,শরিফুল আলম,নিখিল চন্দ্র সরকার,ফারুকুল ইসলাম,আব্দুল হালিম,পলাশ কবির, অফিস সহকারি আব্দুর রউফ, একই বিদ্যালয়ের দপ্তরি মরহুমের জামাতা আবুল কালাম ও প্রতিবেশিরা বিদ্যালয় চত্বরে উপস্হিত হন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শান্তি বেগম, ছেলে আশরাফুল ইসলাম,নওসোব আলী,মেয়ে জাহেলা ও ছাহেলা,নাতি-নাতনি ও ছাত্র-অভিভাবকসহ নানা পর্যায়ের অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিগত ১৯৯০ সালের ১২ মার্চ নৈশ্য প্রহরি পদে চাকুরিতে যোগদান করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়,আজ মঙ্গলবার বাদ আসর অত্র বিদ্যালয় মাঠে নামাজে-জানাজা শেষে সদরের সরকারি গোরস্হানে তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হবে।
তার আকস্মিক মৃত্যুতে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারি ও অসংখ্য শিক্ষার্থি-অভিভাবকসহ এলাকার সর্বস্তরের জনমনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে,উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পৃথক-পৃথক বিবৃতি প্রদান করেছেন।