
গাইবান্ধার সুুবিধাবঞ্চিত ও হরিজন শিশুরা অধিকাংশেই লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে ছিলো। অনেকেই বিভিন্ন স্কুলে পাঠদান করলেও শিক্ষা উপকরন ও অভিভাবকদের অসচেতনতার অভাবে লেখাপড়া করতে পারতনা।
জাতীয় শিশু কিশোর অনলাইন নিউজ পোর্টাল হাতেখড়িতে ”শিক্ষায় পিছিয়ে গাইবান্ধার সুুবিধাবঞ্চিত ও হরিজন শিশুরা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর শিশুদের নিয়ে গাইবান্ধা রেলওয়ে কলনীর রেল লাইনের পাশেই খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে বেসরকারি সংগঠন এভারগ্রীন জুম বাংলাশে ফাউন্ডশন। ৬ মাসে প্রায় ৫০ জন শিশুর লেখাপড়া নিশ্চিত করা, শিক্ষা উপকরন সামগ্রী বিতরন সহ পাঠদান শেষে পুষ্টিকর খাবার দিয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে জায়গার অভাবে পাঠদান করতে পারছেনা শিশুরা।
জুম বাংলাশে স্কুলের শিক্ষার্থী লোহান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান করছি। আমরা যদি রুমের ভেতর পাঠদান করতে পারতাম তাহলে লেখাপড়ায় আরো মনযোগী হতে পারতাম।
জুম বাংলাশে স্কুলের ভলান্টিয়ার এনটি স্মরন বলেন, শিশুরা লেখাপড়া করতে অনেক আগ্রহী। তারাও লেখাপড়া করে শিক্ষিত মানুষ হতে চায়, কিন্তু জায়গার অভাবে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে।
অভিভাবক ও শিশুরা, স্থানীয় সচেতন মহল ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানায় রেলওয়ে কলনীর আশেপাশে যদি তাদের জন্য নির্দিষ্ট রুমের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় তাহলে শিশুরা নিরাপদে পাঠদান করতে পারবে।
এভারগ্রীন জুম বাংলাশে ফাউন্ডশনের পরিচালক এসটি শাহীন প্রধান বলেন, জায়গার অভাবে পাঠদান করতে পারছেনা শিশুরা। তারা লেখাপড়া থেকে যেন পিছিয়ে না যায় এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।