
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন,যে কায়দায় করা হচ্ছে, সব স্বৈরাচারী, এটা বন্ধ করুন, জোর করে নির্বাচিত হবেন, দাবি করবেন বিজয়ী হয়েছেন, এটা অর্থহীন ‘সরকারকে বলবো, এটা ভাওতাবাজি তিনি বলেন, দেশের মানুষ চায় অবাধ নির্বাচন’ পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের আচরণ ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন ।
জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না দিলে দেশে মহা সঙ্কটের সৃষ্টি হবে মন্তব্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এখনও সামনে সাত দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি গ্রেপ্তার বন্ধ করে, প্রচার প্রচারণার সমান সুযোগ দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। তা না করে ভাওতাবাজির নির্বাচন করলে তা কেউ মেনে নেবে না। বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির তথ্য তুলে ধরে ড. কামাল বলেন, ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা বলছে এভাবে পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া, পুলিশ ও সরকারি দল মিলে যারা ভোট চাইতে যাচ্ছে তাদের ওপর আক্রমণ করা আর হয়নি ।
এমন আর দেখিনি। কল্পনা করাও যায় না। তিনি বলেন, পরিবেশকে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৬ জন ধানের শীষের প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব আসনে প্রার্থিতা বাতিল করা, সেসব আসনে পুনঃতফসিলের দাবি জানাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট।
ড. কামাল বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো ভোট হয়নি। এটা একটা আয়োজন ছিল। তারা বলেছিলো, দ্রুত নির্বাচন দেবে’।
ইন্টারনেটের গতি কমানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।