
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে থেকে ফিরে যাওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসার সুযোগ করে দিতে মায়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর।
ইউএনএইচসিআর’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়া নিশ্চিতের প্রতি মায়ানমারের প্রতিশ্রুতি এবং ফিরে আসাদের গ্রহণে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলোকে স্বাগত জানায় ইউএনএইচসিআর। তাই চলাচলের স্বাধীনতা, সেবা পাওয়ার সুযোগ, দালিলিক বিষয় ও জীবিকার সুযোগের ক্ষেত্রে কী অগ্রগতি হয়েছে তা মায়ানমারের দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য কী অগ্রগতি হয়েছে তা বোঝার জন্য তাদের হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত এ সফরের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শরণার্থীরা স্বাধীনভাবে রাখাইনে পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে এবং বাংলাদেশে অন্য শরণার্থীদের কাছে সে তথ্য প্রচার করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইউএনএইচসিআর এই সফরে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত এবং রাখাইন স্টেটে শরণার্থীসহ সব জনগোষ্ঠীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী সমাধান লাভে সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।’
গত ১৫ নভেম্বর ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেয়া হলেও জাতিসংঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুরোধ এবং রোহিঙ্গাদের অনীহার কারণে তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে মায়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। পাশাপাশি কফি আনান নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের সংকটের মূল কারণ দূর করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাটি।
গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে নির্যাতনের মুখে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঢল নেমেছিল। এরপর থেকে এ দুই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার বনভূমিতে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছে নতুন এবং পুরোনো মিলিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা।