
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়িতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রিয় নবীর ভক্ত আশেকানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে জশনে জুলুস র্যালী বের করে। দিবসটিতে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত। আজ বৃহস্পতিবার ১২ রবিউল আউয়াল সকালে ফুলছড়ি উপজেলার চার তরিকার ভক্তবৃন্দের উদ্যোগে একটি র্যালী ছালুয়া দরবার শরীফ চত্বর থেকে বের হয়ে কালিরবাজার-বাদিয়াখালী সড়কসহ ফুলছড়ি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিন শেষে শুরুস্থলে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তারা কালামে আরবি শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও ইসলামী চাঁদ-তারা খচিত পতাকা বহন করে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে ‘মহানবীর (সা.) জন্মদিন, আজ আমাদের খুশির দিন’ এই শ্লোগানে এলাকা মুখরিত করে তোলে।
পরে ছালুয়া মাইজভান্ডার দরবার শরীফ চত্বরে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দরবার শরীফের সভাপতি আব্দুল মোন্নাফ মাইজভান্ডারী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পীরজাদা সৈয়দ মনিরুল ইসলাম আল মাইজভান্ডারী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার, প্রধান শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবলু, মোজাদ্দেদী তরিকার স্থানীয় খাদেম শহিদুল ইসলাম, মাওলানা জসিম উদ্দিন, হাফেজ মুকুল মিয়া, মনিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, জহুরুল ইসলাম যাদু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ পাকের নূরের জ্যেতি থেকে সর্ব প্রথম সৃষ্টি করে সর্বশেষ ১২ই রবিউল আউয়াল এর এই দিনে পৃথিবীর বুকে প্রেরণ করেন। আল্লাহতায়ালা মানব জগতের ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ সাধনের জন্য নবী করিম (সা.) কে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর সর্বগুণ মেনে চললে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। শেষে ভক্তবৃন্দের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।