
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ‘গায়েবি’ মামলার তদন্ত বন্ধ, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি শেষে জেষ্ঠ্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী গায়েবি মামলা নিয়ে রুল দেন।
অপরদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি আশরাফুল কামাল রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন। পরে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, নিয়ম অনুযায়ি এখন প্রধান বিচারপতি আবেদনটি অন্য একটি বেঞ্চে পাঠাবেন।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাদী হয়ে এই রিট করেন।
রিটে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া এসব মামলার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।