
এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নে পুত্র বধুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ধর্ষক গ্রাম পুলিশ শ্বশুড়ের নামকা ওয়াস্তে গ্রাম্য সালিশ করে ছেড়ে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান। অভিযোগ রয়েছে টাকা বিনিময়ে এবং গ্রাম পুলিশ হওয়ার সুবাদে এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরেও ন্যায় বিচার পেল না পুত্র বধু।
এলাকাবাসি ও ধর্ষিতার নিকট থেকে জানা গেছে, ১২ এপ্রিল সকালে নওহাটি চাচিয়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলামের স্ত্রী এক সন্তানের জননীকে একা বাড়িতে অবস্থান করছিল। মমিনুল ইসলাম জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় চাকরি করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লম্পট শ্বশুড় পান খাওয়ার কথা বলে পুত্র বধুর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় পুত্র বধুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে শ্বশুড় সটকে পড়ে। পরবর্তীতে পুত্র বধু বিষয়টি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসিসহ তার ভাইকে জানায়। ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবু বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বার-বার সালিশি বৈঠকের কথা কালক্ষেপণ করে। এব্যাপারে ওই গৃহবধুর ভাই দেলওয়ার হোসেন চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে ৩০ এপ্রিল রবিবার নওহাটি চাচীয়া গ্রামের হোসেন আলীর বাড়ির উঠানে সালিশি বৈঠকের ব্যবস্থা করে। সালিশি বৈঠকে চেয়ারম্যান ধর্ষক গ্রাম পুলিশ হওয়ায় প্রহসনমূলক বিচার করে ধর্ষক শ্বশুড়কে ছেড়ে দেয়। ওই গৃহবধু জানান-তার শ্বশুড় চেয়ারম্যানসহ মাতাব্বরদেরকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়েছে। যার কারণে চেয়ারম্যান তাকে ছেড়ে দেয়। তিনি আরও বলেন এ ঘটনার পর তার শ্বশুড় জমি বন্ধক রেখে ওই টাকা ঘুষ দিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবুুর সাথে মোবাইল-ফোনে যোগযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। ওই গৃহবধু ন্যায় বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।