
স্টাফ রিপোর্টার: আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধায় শেষ হলো তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা ২০১৮। আজ ৬ অক্টোবর শনিবার গাইবান্ধার স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপ-পরিচালক ডিডিএলজি মোছা. রোখছানা বেগম (উপ-সচিব) এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বর্তমান সরকারের উদ্দোগে দেশ ও জনগনের জন্য গৃহিত উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন সরকারের এই উন্নয়ন কার্যমের ফলে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা আজ উন্নত জাতি হিসাবে মাথা উচু করে দাড়িয়েছি । আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস শাকুর, পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন প্রমুখ।
মেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৮২টি স্টল অংশ গ্রহন করে। মেলায় অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে সুন্দর উপস্থাপনা ও সাজসজ্জার জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়াও অংশগ্রহণকারি প্রতিটি স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়।
উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলায় শিার্থীরা ছাড়াাও সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে আসেন। স্টলগুলোতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বর্তমান সরকারের আমলে গৃহীত প্রকল্প বিষয়ে তাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সঠিক চিত্র সুন্দর এবং দৃষ্টিনন্দনভাবে উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান জনগণের জন্য তাদেও প্রদত্ত সেবার ধরণ সম্পর্কেও সঠিক ধারণা উপস্থাপন করেন। যা থেকে মেলায় আগত দর্শণার্থীরা মেলার প্রকৃত ল্যসমূহ সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে তুলে ধরা, জনগণকে উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্তকরা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, এমডিজি অর্জনে সরকারের সাফল্য, এসডিজি কার্যক্রমে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, বিনিয়োগ পরিকল্পনা ও ব্যক্তিখাতে উদ্যোক্ত সৃষ্টি এবং দতা উন্নয়নের ল্েয এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ১০টি ব্রান্ডিং প্রকল্পের বিবরণ এবং এর অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা দিতে মেলায় বিশেষ প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সারাবিশ্বে বিভিন্ন কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ যে সমস্ত পুরস্কার লাভ করেছেন তার একটি চিত্র প্রদর্শনীর জন্য মেলায় বিশেষ একটি স্টল ছিল। মেলা উপলে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। মেলায় তিনদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ছিল বিশেষ একটি স্টল। প্রতিদিন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক তথ্য বিবরণীর ভিডিও ও চিত্র মেলায় প্রচার ব্যবস্থা করা হয়।